শরীয়তপুরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এর সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ নকল কাগজ তৈরি পূর্বক আত্মসাৎ ও লুটপাট বন্ধ করার জন্য অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
সিএনএম প্রতিবেদকঃ
সূত্রে জানা যায়, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধ অনুসন্ধানকালে গত ০১/০৩/২০২৪ইং তারিখ শরিয়তপুর পালং বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মীরা একটি রেস্টুরেন্টে বসে চা পান করার সময় দেখতে পান ৬-৭ জন লোক টাকা কমবেশি ভাগাভাগি নিয়ে কথা
কাটাকাটি করছে। ঐ লোকগুলো কিছুক্ষণ পরে সেখান হতে চলে যাওয়ার পর তাদের সাথে আসা বসে থাকা অন্য লোকজনদের কাছে অনুসন্ধানকারী মোঃ আলমগীর (সেলিম) ও কর্মীরা জিজ্ঞেস করে জানতে চায় ওনারা কিসের কোটি কোটি টাকার ভাগাভাগির হিসাব করল। তখন ঐ ব্যক্তি নিজের নাম না বলা স্বত্তে¡ বলে, ভাই ওনারা শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক অফিসের দালাল এরা পদ্মা ব্রিজ হতে নাওডোবা দিয়ে জাজিরা হয়ে শরিয়তপুর এলাকার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এর সরকারি বরাদ্দ অর্থের লোটপাটকারী দালাল তাদের নাম ১। নাজমুল ( মোবাইল- ০১৯১৭৫৬৭১৫৭)
২। লাল মিয়া ( মোবাইল-০১৭২০৪০৭৭৯০)
৩। লিপি আক্তার ( মোবাইল-০১৮৯৪২০১২১৮)
৪। বাবুল মেম্বার ( মোবাইল-০১৮৮৭-৫৫১৪৮৬)
৫। রেজাউল ( মোবাইল-০১৮১৮-৫৫৫৮৪১) ও নাওডোবার বাসিন্দা শরিয়তপুরের প্রভাবশালী দালাল মেজবাহ উদ্দিন সহ অজ্ঞাতনামা তাদের দলে রয়েছে আরো ৫০-৬০ জন দালাল এদের কাজ হচ্ছে তাদের অন্যান্য সহযোগী দালালদের নিয়ে পদ্মা ব্রিজ হতে শরিয়তপুর পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের এলএ কেইস নং-০৮/২০২০-২১ জারির নম্বর-১০৬/২, জারির নম্বর-১০৬/৪, জারির নম্বর-১০৬/৩ নম্বর সহ অন্যান্য দাগ প্রকল্পের আওতাধীন সরকারি অধিগ্রহণ সম্পত্তির ক্ষতিগ্রস্থ নাল ও ডোবা, জমি, বসতবাড়ি, ভিটা, ঘর, দোকান-পাট, এর ন্যায্য মূল্য সরকারি ভাবে জমির প্রকৃত মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।
ঐ সকল জমির মালিকগণদের নানা ধরনের ভয়-ভীতি ও ভুল বুঝিয়ে উক্ত দালাল সিন্ডিকেট মেজবা বাহিনী সরকারি অধিগ্রহণ সম্পত্তির নামমাত্র দাম দিয়ে কিনে শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক এর এলএ শাখার অসাধু কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের গোপনে ঘুষ দিয়ে অল্প দামের জমি ও মালামাল এবং ডোবা জমি কাগজে নাল দেখিয়ে কাগজপত্রে ২০ গুণ দাম বানিয়ে জেলা প্রশাসক এর অসাধু কর্মকর্তা ও বর্হিরাগত দালালরা পরস্পর যোগ সাজশে সঠিক তদন্ত ছাড়া জেলা প্রশাসকের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরকারি প্রকল্পের অর্থ নানা ফন্দি ফিকির করে পাল্লা দিয়ে লুটপাট করিতেছে।
এক সময় উক্ত দালালরা মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে দিন মজুর হিসেবে কাজ করত। অভাব অনটনের সংসার চালাতেও তাদের অনেক কষ্ট হতো। পদ্মা সেতু হওয়া শুরু হতে মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে সরকারি অধিগ্রহণ এর দালালী করে সরকারি প্রকল্পের অর্থ কৌশলে আত্মসাৎ পূর্বক এখন তারা কোটি কোটি টাকার মালিক। যা গোপন তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। উক্ত বিষয় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা জানার পর তারা গোপনে ও প্রকাশ্যে খোঁজ খবর নিয়ে উক্ত ঘটনার বিষয় সত্যতা পাওয়ার পর সরকারি অর্থ রক্ষায় দেশ ও জনস্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার সহ বিভিন্ন দপ্তরে সংস্থার পক্ষে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষে মহা-সচিব মোঃ আলমগীর (সেলিম) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে পুংঙ্খানুপুঙ্খো তদন্ত করছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষ।