সিএনএমঃ
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর অভিযানে নোয়াখালীর সুধারাম হতে ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র মামলায় ৮৪ বৎসরের সাজাপ্রাপ্ত ও একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ০১ জন আসামী গ্রেফতার।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ( ১৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন জেনারেল হাসপাতালের সামনে সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ভোলা মনপুরা থানার জিআর – ১৬/০৭ (ডাকাতি) মামলায় ৩২ বছরের সাজা, জিআর- ২৫/০৭ (অপহরণ) মামলায় ১০ বছরের সাজা, জিআর- ২৬/০৭ (অস্ত্র) মামলায় ২৪ বছরের সাজা এবং ভোলা চরফ্যাসন থানার জিআর- ৫৪/০৯ (অপহরণ ও চাঁদাবাজী) মামলায় ১৮ বছরের সাজা পরোয়ানাভুক্ত সর্বমোট ৮৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ও আরও ০৩টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ মনির উদ্দিন (৪০) কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মনির উদ্দিন (৪০) নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন পশ্চিম মাইজছড়া গ্রামের হাজী আব্দুল মোতালেব এর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মনির উদ্দিন (৪০) পেশায় একজন জলদস্যূ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা উপকূলবর্তী এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধের সাথে জড়িত। উপকূলবর্তী এলাকার লোকজন তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। তার নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ ও ভোলা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় জেলেদের অপহরণ করতঃ মুক্তিপণ আদায় করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলো। উপকূলের লোকজন তাদের এরূপ কার্যকলাপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করতো না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বাহিনীর লোকজন কর্তৃক উক্ত ব্যক্তিকে মারধর সহ নির্যাতন করতো। তার বিরুদ্ধে ভোলা জেলার মনপুরা ও চরফ্যাসন থানায় ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। উক্ত মামলা সমূহে সে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা সমূহে বর্ণিত আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা পরোয়ানা ইস্যূ করেন। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর চৌকস আভিযানিক দল জলদস্যূ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ মনির উদ্দিন (৪০) কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল ১৭/১০/২০২৩ ইং তারিখ তথ্য প্রযুুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।