মমতাময়ী মা এবং আমি
জাহাঙ্গীর বারী
মাগো তোমার প্রতিচ্ছবি গুলো চোখের ওপর ভাসে,
খানিক বাদে চোখ কেন ঝাপসা হয়ে আসে।
মাগো তুমি থাকতে বুঝেনি তোমার অবদান,
এখন বুঝি তোমায় ছাড়া হয় না কার্যের সমাধান।
মাগো তোমার শুণ্যস্থান পূরণ হবার নয়,
তবুও জীবন এগিয়ে নেও, তোমার স্মৃতিগুলো কেঁদে কেঁদে কয়।
ভাবতে পারিনা মাগো তুমি নেই অথবা আসবে না ফিরে,
তোমার স্মৃতিগুলো খেলা করে বেদনার তীরে।
মাগো তুমি কত খুশি হতে ভাই বোনের মিলন মেলায়,
হয়ত মিলন মেলা হবে ঠিকই আনন্দ গুলো পড়ে থাকবে অবহেলায়।
তোমার স্মৃতিগুলো এখনো হয়ে আছে জীবন্ত,
তুমি যেন আছো আমার আশেপাশে, থাকবে অনন্ত।
মাগো তোমার কন্ঠস্বর গুলো এখনো কানে বাজে,
এই বুঝি ডাকছো খোকা খুকি বলে সন্ধ্যা সাঁঝে।
মাগো তুমি না খেয়ে খেয়েছো যে আমায়,
এই ঋণ শোধ করব কিভাবে মাগো তোমায়।
মাঝ রাতে ঘুমের ঘোরে তোমায় দেখি আমি,
শিয়রের সামনে দাঁড়িয়ে দেখছো আমায় তুমি।
মাগো তুমি কত কষ্ট করে সাজিয়ে ছিলে এই সংসার,
সবকিছু আগের মতোই আছে তুমি ছাড়া সবকিছু যে অসাড়।
আবার যদি মাগো তোমায় ফিরে পেতাম,
দিতাম না যেতে,হৃদয়ের মাঝে আগলে রাখতাম।
সময়ের পরিক্রমায় হয়ত স্মৃতিগুলো হয়ে যাবে মলিন,
আসলে কি মা তোমাকে ভুলা যাবে?স্মৃতিগুলো কখনো হবে না বিলীন।
এটুকু সান্ত্বনা,
মানুষ আজীবন বেঁচে থাকবে না পৃথিবীর পরে,
সবাই কে যেতে হবে জগৎ সংসারের মায়া ছেড়ে।