সিএনএম ডেস্কঃ
সহবাস বা যৌন মিলন বিভিন্ন ভাবে নারী-পুরুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে থাকে। শরীর ভাল রাখতে সবচেয়ে ভাল উপায় যৌনতা উপভোগ এর মাধ্যমে প্রচুর কেমিক্যালের ক্ষরণ হয় যা মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।
যৌনতার অন্যান্য উপকারিতাও রয়েছে।
১.যৌনতা রক্তের সংবহনকে বৃদ্ধি করে।
২.এটি ত্বকে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ফলে ত্বক অনেক বেশি স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়।
৩. নিয়মিত যৌন প্রবৃত্তি ত্বকে দীর্ঘ প্রভাব বিস্তার করে এবং এর ফলে আপনাকে দেখতে অনেক কম বয়সি বলে মনে হয়।
৪.যৌনতা সাধারণ কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, এটি মুখের বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত দাগ থেকে মুক্তি দেয় এবং ত্বককে ঝুলে পড়তে দেয় না।
৫. সপ্তাহে ১ বা ২ বার যৌনকর্ম করলে তা শরীরে ইমিউনোগ্লোবিন এ নামক অ্যান্টিবডি উৎপাদন করে। এই অ্যান্টিবডি বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
সুতরাং আপনি যতবেশি যৌনক্রিয়া করবেন তত বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। হরমোন যে শুধু সেক্স ড্রাইভকে নিয়ন্ত্রণ করে তা নয়, এটি চুলের পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন চাহিদা পরিতৃপ্ত হলে, বিপাকীয় পুষ্টি গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও ঘন হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যতবেশি যৌন সহবাস করা যায় পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা তত বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মহিলাদের ক্ষেত্রে বীর্য শোষণের ফলে অবসাদ কম হয় এবং শক্তি বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও বেদনাহীন প্রসবও হতে পারে। অবসাদ কমাতে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হল যৌনসহবাস। কারণ এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং এটি অবসাদের মাত্রাকেও কম করতে সক্ষম।সহবাসের ফলে যে হরমোনের নিঃসরণ হয় সেগুলি যেমন ত্বকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখতে সক্ষম তেমনই হাত ও পায়ের নখকেও শক্ত করে। এর ফলে নখ ফাটা বা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সহবাসের বিকল্প নেই।
গবেষণায় দেখা গেছে, য়ে পুরুষ সপ্তাহে ২ বা তার বেশি সংখ্যকবার যৌনসহবাস করেন তার ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কম। তাই বেশিদিন সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাইলে যৌনতা আপনাকে সাহায্য করতেই পারে। পুরুষের যে সকল ভূলের কারনে মেয়েরা পূর্ণাঙ্গ যৌন তৃপ্তি পায় না ত্বকের ব্রণ কমাতেও সহবাস দারুণ কাজ দেয়। কারণ এটি শরীরে হরমোনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে এর ফলে রক্ত পরিশ্রুত থাকে এবং ত্বক এক্কেবারে পরিষ্কার থাকে। সহবাস সংবহনতন্ত্রকে উন্নত করে এর ফলে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গে রক্তের সংবহন যথাযথ পরিমাণে হয়, এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং মানুষ স্বাস্থ্যবান থাকেন। সহবাসের ফলে অক্সিটোসিন নামক একপ্রকার কেমিক্যালের ক্ষরণ হয়, এটি এন্ডোরফিনকে বৃদ্ধি করে যার ফলে ব্যথা বিশেষত মাথা ব্যথার পরিমাণ হ্রাস পায়। এছাড়াও সহবাস বিভিন্ন ক্ষততে আরাম দিতেও সক্রিয়, এমনকি ডায়াবেটিক রোগীদের অনমনীয় ক্ষতকেও কমাতে সক্ষম।
অনেক চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারছেন না তো?
সহবাস ওজন কমানোর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। গবেষণায় দেখা গেছে, সহবাস এর প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত কমানো যায়। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহবাস এর জুরি মেলা ভার।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ বছর বয়সি পুরুষদের ক্ষেত্রে মাসে ৫ বার এবং তুলনামূলক বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাসে ২১ বার বীর্যপাত প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত সহবাস স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। পর্নস্টার দের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ( ভিডিওতে দেখুন) বীর্যে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ বর্তমান। শরীরে বীর্যের শোষণের ফলে এই পদার্থগুলো শরীরে প্রবেশ করে যা দাঁতকে সুস্থ রাখতে সক্ষম। এর ফলে সাদা ও সুস্থ দাঁত খুব সহজেই পাওয়া যায়। অত্যাধিক উত্তেজনার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিটোসিনের ক্ষরণ হয় এটি ঘুমোতে সাহায্য করে।
তাই যারা অনিদ্রার শিকার তাদের ক্ষেত্রে সহবাস খুব উপযোগী। অক্সিটোসিন মূলত প্রেমের হরমোন নামে পরিচিত। এটি মানুষকে বিশ্বাস ও একে ওপরের সঙ্গে আবদ্ধ হতে সাহায্য করে। দু’জন মানুষ যত বেশি সহবাস করবেন তাদের অক্সিটোসিন তত বেশি আদান প্রদান হবে এবং এতে তাদের সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ় হবে। এছাড়াও অক্সিটোসিন উদারতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।