1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু চিরন্তন সত্য — জিএম জামাল কষ্টের জীবন — জিএম জামাল

‘লেবার বোর্ডিং’ বা ‘গরিবের আবাসিক হোটেল’

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২.১৪ পিএম
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

সিএনএম – ঈশ্বরদী (পাবনা);

ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের আনন্দবাজারের আশেপাশে গড়ে উঠেছে এধরণের ৬টি আবাসিক বোর্ডিং। শুয়ে ঘুমানোর জন্য কোনো চৌকি বা খাট নেই। মেঝেতে খেজুরের পাটি বা প্লাস্টিকের বস্তার উপর নিজের কাঁথা-বালিশে শান্তিতে ঘুমান দিনমজুররা । অনেকদিন ধরে যারা আছেন তাদের নিজস্ব ট্রাঙ্ক রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কাজ থেকে ফিরে বেশ কয়েকজন রান্নায় ব্যস্ত। একত্র হয়ে ৫-৭ জন রান্না করেন। বোর্ডিংয়ে মোট ১০টি ঘর রয়েছে। ২৫০ থেকে ৩০০ জন দিনমজুর এখানে থাকতে পারেন।
ঈশ্বরদীতে মাত্র ১৫ টাকা ভাড়ায় জমজমাটভাবে চলছে গরিবের আবাসিক হোটেল। টিনশেড এই হোটেলের সাইজ ২২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থ। পেশায় দিনমজুর প্রায় ৫০ জন মানুষ ঘরের মেঝেতে শুয়ে রাত্রিযাপন করেন। ক্ষেত-খামারে সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর রাতে এ ঘরে ঘুমান। প্রতি রাতের জন্য ভাড়া ১৫ টাকা।
স্থানীয়দের কাছে ‘লেবার বোর্ডিং’ নামে পরিচিত। আবার কেউ কেউ বলেন ‘গরিবের আবাসিক হোটেল’।
গ্রামবাসীরা জানান, সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী, বক্তারপুর ও নওদাপাড়া গ্রামে সারা বছরই সবজির আবাদ হয়। পাশাপাশি ধান, পাট, সরিষা, মাশকালাই, মশুর, পেঁপে, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফল-ফসলের আবাদ হয়। ক্ষেত-খামারের কাজে দিনমজুরের চাহিদা থাকায় স্থানীয় দিনমজুরদের পাশাপাশি অন্যান্য জেলা-উপজেলা থেকে এখানে এসে বছর জুড়েই কাজের সুযোগ পান। রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, কুড়গ্রাম, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার দিনমজুররা আগে স্কুলের বারান্দা ও দোকানপাটের সামনে রাত্রিযাপন করতেন। আবার পলিথিনের ছাউনি তুলে ক্ষেত-খামারেই থাকতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আতিয়ার রহমান এ দূরাবস্থা দেখে ভাড়ইমারি আনন্দ বাজারে দিনমজুরদের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেন। দিনমজুররা সারাদিন পরিশ্রমের পর এই ঘরে রাত্রিযাপনের সুযোগ পান। প্রথম দিকে রাত্রী যাপনের জন্য দিনমজুরদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হতো। এভাবেই প্রায় এক যুগ আগে দিনমজুরদের থাকার জন্য আনন্দবাজারে এভাবেই গড়ে ওঠে দিনমজুরদের বোর্ডিং। পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী একে একে গড়ে ওঠে ছয়টি বোর্ডিং।
পার্শ্ববর্তী নাটোরের লালপুরের মহরকয়া গ্রামের বাসিন্দা বলেন, ভাড়ইমারীতে দিনমজুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ করে ৭৫০ টাকা হাজিরা পাই। বোর্ডিংয়ে থাকা ও খাওয়া দিয়ে ১০০ টাকা খরচ পড়ে। বাড়ির দূরত্ব ২০ কিলোমিটার হবে। আগে সাইকেল চালিয়ে এসে কাজ করলেও এখন আর সম্ভব না। সকলে একসঙ্গে ভালোই আছি। কোনো অসুবিধা নেই। মাত্র ১৫ টাকা ভাড়া দেশের আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না।
বগুড়ার নন্দীগ্রামের বাসিন্দা বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছি। এতে কম খরচে কোথাও থাকার ব্যবস্থা নেই। দিনমজুরদের থাকা ও খাওয়ার এমন সুব্যবস্থা না থাকলে এখানে এসে কাজ করা সম্ভব হতো না। শুধু থাকাই নয়, বিনোদনের জন্য রয়েছে টেলিভিশন। অবসর সময়ে টিভি দেখে সময় কাটানো যায়।
বোর্ডিংয়ের মালিক আতিয়ার রহমান জানান, দিনমজুরদের থাকার কষ্ট দেখে প্রথমে একটি ঘরের ব্যবস্থা করেছিলাম। এরপর অনেকেই বোর্ডিং খুলেছে। গরিব দিনমজুরদের উপকার হয়। ব্যবসার কোনো উদ্দেশ্য নেই।
আরেক বোর্ডিংয়ের মালিক জাহিদুর ইসলাম জাহিদ বলেন, আমার বোডিংয়ে তিনটি ঘরে ১০০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ফসল লাগানো ও উঠানো মৌসুমে বোর্ডিংয়ে লোকজন ভরপুর থাকে। তখন প্রতিদিন ১,৫০০ টাকা আয় হয়। এটি আমরা সেবামূলক কাজ হলেও যথেষ্ট আয়ও হয়।
সলিমপুরের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা জানান, সলিমপুর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই বছরজুড়ে সবজির আবাদ হয়। প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার দিনমজুর আশপাশের উপজেলা ও জেলা থেকে এসে কাজ করে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব দিনমজুরদের অনেকেই কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন না। গরিব দিনমজুরদের থাকার জন্য মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্থানীয়রা লেবার বোর্ডিং করে দিয়েছেন। এখানে দিনমজুররা খুব কম ব্যয়ে স্বাচ্ছন্ধে থেকে কাজকর্ম করতে পারে। দিনমজুরদের আবাসন সুবিধা হওয়ায় স্থানীয় কৃষক ও দিনমজুর দু’পক্ষেরই উপকার হয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, দিনমজুরদের থাকার জন্য লেবার বোর্ডিং বা আবাসিক কোনো ব্যবস্থা রয়েছে এটি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়টি দেখবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার জানান, ঈশ্বরদীতে কৃষি কাজ করতে প্রতিদিন হাজার হাজার দিনমজুর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসে। এদের থাকার জন্য আবাসিক কোনো ব্যবস্থা রয়েছে, এটি আমার জানা নেই। মাঝে মধ্যেই ভাড়ইমারী আনন্দবাজারে যাই। এবার গেলে দিনমজুরদের বোর্ডিংগুলোর খোঁজখবর নেবো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com