সিএনএম (মৌলভীবাজার);
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে ভিক্ষুক কোহিনুর বেগমের শিশু সন্তান চুরি হওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশু চুরির সাথে জড়িত চোরচক্রের নারী-পুরুষসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা হলেন শিমুল হোসেন (২৭) ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (২৪)। আটককৃতদের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার শাহপুর গ্রামে।
জানা যায়, শিশুটির মা তার স্বামী শহিদ আলীকে নিয়ে শ্রীমঙ্গল শহরে দীর্ঘদিন যাবত ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছেন। তিনি শ্রীমঙ্গল শহরের কালীঘাট রোডের শাহেনা আক্তারের মালিকানাধীন বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের কালীঘাট এলাকা থেকে ভিক্ষুক কোহিনুর বেগমের কোল থেকে তিন মাসের শিশুকে আদর করার নাম করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। এর পর শিশুটি চুরি হওয়ার ঘটনায় কোন উপায় না পেয়ে মা কোহিনুর বেগম সন্তান ফিরে পেতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগটি আমলে নিয়ে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিশুটি উদ্ধারে অভিযানে নামে।
অভিযানের শুরুতে যেখান থেকে শিশুটিকে তাঁর মায়ের কোল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানকার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধী শনাক্ত করা হয়। ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই পুলিশ আসামী ধরতে চুড়ান্ত অভিযানে নেমে ঘটনার তিনদিনের মাথায় গত মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এসময় শিশু চুরির সাথে জড়িত শিমুল হোসেন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তাদের মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর জানান,আমাদের ধারণা শিশুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হতে পারে