সিএনএম ২৪ডটকমঃ
পশ্চিমবঙ্গে ১৭তম বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টায় শুরু হয় ৮ দফা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাকুড়া, ঝাড়গ্রামসহ ৩০টি আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামের ভোটে সাহায্য চেয়ে বিজেপি নেতাকে ফোন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজেপি নেতা প্রলয় পাল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথন দাবি করে একটি অডিও ভাইরাল রয়েছে। প্রলয় পাল তৃণমূলের নেতা ছিলেন। পরে তিনি দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন। এবারের নির্বাচনে সাহায্য চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকেই ফোন করেন বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রায় ৩ মিনিটের কথোপকথনে প্রলয় পালকে মমতা বলেন, ‘তুমি অনেক ইয়ং ছেলে। অনেক কাজ কর আমি জানি সব কিছু। তুমি একটু আমাদের হয়ে কাজ করে দাও না। সাহায্য করে দাও না। তুমি দেখবে কোনও অসুবিধে হবে না।’
পাল্টা বিজেপি নেতা প্রলয় বলেছেন, তাঁকে(মমতা) দেখেই প্রলয় পালের পরিবার রাজনীতি করেছিল। আর মমতা যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, সেদিন, ৫ জন ব্রাহ্মণকে ডেকে যজ্ঞ করেছেন। তিনি মিটিং মিছিল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রলয়।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এত কিছু করার পরেও প্রলয় পাল রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট পায়নি। আর পশ্চিমবঙ্গের বাম শাসনামলে আমলে অধিকারী পরিবার তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন প্রলয় পাল। এই বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন, তাঁর বাবার সঙ্গে শিশির অধিকারীর ৪০ বছরের সম্পর্ক। ফোনে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের তৎকালীন নেতা তাঁকে নন্দীগ্রামে যেতে দেয়নি।
রা মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারদের জমিদারি চলছে বলে অভিযোগ করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে করেছে অন্যায় করেছে। তিনি সব খবর রাখেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা প্রলয় পালকে বলতে শোনা যায়, তিনি দল থেকে বেরিয়ে এসেছেন। যে সময় যে দল তিনি করেন মন দিয়েই করেন। তিনি বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন প্রলয় পাল।
প্রলয় পাল আরও বলেছেন, তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকায় আঙুল তোলার মতো কেউ নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা বলতে শোনা যায় এখন যাঁরা বিজেপি করছেন, তাঁদেরকে কি তিনি সৎ বলে মনে করেন। তখন প্রলয় উত্তর দেন, যতদিন দলকে সৎ বলে মনে করবেন, ততদিন তিনি ওই দলের সঙ্গে থাকবেন। সাহায্য না করতে পারার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ওই নেতা। এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি এত বড় নেতৃত্ব হওয়া সত্ত্বেও আপনি আমার মতো সাধারণ কর্মীকে ফোন করেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কিন্তু দিদি আপনাকে ক্ষমা করবেন।’