সিএনএম প্রতিনিধিঃ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি সদ্যবিদায়ী লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। আশিক বিল্লাহ তার নিজ বাহিনীতে (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) ফিরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) র্যাবে তার শেষ কার্যদিবস।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ. ন. ম. ইমরান খান জানান, কমান্ডার আল মঈন র্যাবের যোগাযোগ ও এমআইএস উইংয়ের পরিচালকের পাশাপাশি মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করবেন। বৃহস্পতিবার তিনি আশিক বিল্লাহর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
খন্দকার আল মঈন ৪৫তম বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে এবং নৌ গোয়েন্দা পরিদফতরে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি দারফুর, সুদানে জাতিসংঘ মিশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। দেশ ও বিদেশে নৌ বাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন আল মঈন।
র্যাব জানায়, কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র্যাব ফোর্সেসে যোগদান করেন। তিনি র্যাব সদর দফতরে যোগাযোগ ও এমআইএস উইংয়ের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সততা, দক্ষতা ও একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করে র্যাবের আভিযানিক কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তার নির্দেশনা, প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান এবং দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অনসাইট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) প্রচলন করা হয়। যার মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে শনাক্ত করা সম্ভব।
২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত র্যাবের সদর দফতরে গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
প্রধানমন্ত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তারে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) এ ভূষিত হন তিনি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) থেকে পিএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন।