এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রীদের দ্বিতীয় সম্মেলনে চার দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে কার্যকর ও রূপান্তরিত শিক্ষানীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে তিনি শিক্ষাকে সর্বজনীন সম্পদ বলে উল্লেখ করেছেন।
ডা. দিপু মনি শিক্ষার ব্যয়ভার বহনের বিষয়ে সামাজিক এবং উন্নয়ন অংশীদারদের কার্যকর সহায়তা কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার, কারিগরি এবং ভোকেশনাল শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন এবং ডিজিটাল শিক্ষা সুলভ ও সহজলভ্য করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
সোমবার (৬ জুন) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে গৃহীত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের এ সভায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৩টি দেশের শিক্ষামন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার (৭ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
জানা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারি এবং পরবর্তীতে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে এ বছরের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রী পর্যায়ের প্ল্যানারি সেশন ও বিষয়ভিত্তিক রাউন্ড টেবিলে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সভাপতি তামারা রাস্তোভ্যাক সিয়ামশিভিলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সভায় ইউনেস্কো এবং বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন। দ্বিপাক্ষিক সভায় তিনি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট শিক্ষা সংক্রান্ত সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পরিবেশগত এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে মত প্রকাশ করেন।
এ সভায় শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।