সিএনএম প্রতিবেদকঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণমানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে মুক্তিকামী মানুষকে সংগঠিত ও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের তিনি আদর্শ প্রতীক। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে শোষণমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
বুধবার (১৭ই মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকিতে ঝিনাইদহ সদর থানার কালুহাটী আফসার মিয়া কমপ্লেক্সে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি (জেএসপি) ঝিনাইদহ জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলে পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, “আজ ১৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাঙালির অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। শুরুতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি, এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন অর্জনের প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।”
তিনি আরো বলেন, “নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে সংগঠিত করে সংগ্রামের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ কারণে তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বল্পোন্নত দেশ।”
আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ৬নং গান্না ইউনিয়ন এর আওয়ামিলীগ এর সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন বিশ্বাস, কালুহাটী মাদ্রাসার সুপার মো উবাইদুর রহমানসহ স্থানীয় ও জেলা জেএসপি নেত্রীবৃন্দু উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ মামুন।