সিএনএম প্রতিবেদকঃ
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকার।বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহার করা হয় ফরেন বডি। সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কামরুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী আনুশকার ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তে জানা যায়, বিকৃত যৌনাচার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় সে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, আনুশকাকে নির্যাতনের সময় এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করেছিল। আনুশকার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, রাজধানীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিষিদ্ধ যৌনাচারের সামগ্রী ও উদ্দীপক দ্রব্য নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করছে। এ চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে সিআইডি।
আনুশকার মৃত্যুর পর তার ময়নাতদন্ত করেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কে এতটা ভয়াবহ পরিণতি হওয়ার কথা নয়। শরীরের নিম্নাঙ্গে কোন ‘ফরেন বডি’ কিছু একটা ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় সেখানে বিকৃত যৌনাচার করা হয়েছে।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেছিলেন, আমি আমার পোস্টমর্টেম জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কে এই ইনজুরি মোটেও সম্ভব না। ওটা অন্য কিছু ছিল।
যোনিপথ ও পায়ুপথ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ভুক্তভোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা এই চিকিৎসকের।
তিনি জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে ‘হাইপো ভোলেমিক’ শকে মারা গেছে। মানুষের মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা দেহ থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে গেলে হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। এ কারণে হৃদযন্ত্র শরীরে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, মানুষ মারা যেতে পারে।
আনুশকার ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি দিহান গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই দিনই নিহত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।