চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দু’টি রুশপন্থি অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে মস্কো। এমনকি স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে জরুরি বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদ।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন ঘোষণা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন। এর আগে পশ্চিমা দেশগুলো বারবার এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছিল। তারা চাইছিল, রাশিয়া যেন রুশপন্থি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দেয়।
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছিল, ইউক্রেন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে বসার অনুরোধ করে। এমনকি একটি চিঠির মাধ্যমে ইউক্রেনও তাদের এক প্রতিনিধিকে বৈঠকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে দাবি জানায়। যদিও পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে ইউক্রেন নেই।
নিরাপত্তা পরিষদের অন্য চার স্থায়ী সদস্য দেশের মতো জাতিসংঘে রাশিয়ার ভোটো ক্ষমতা রয়েছে। জরুরি এই বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাবনা সামনে আনা হলেও রাশিয়া সেটি আটকাতে ভোটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।
বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায় চীন। দেশটির রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, সব পক্ষকে ধৈর্য ধরতে হবে। উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আমরা কূটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রতিটি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।
একই বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আমরা উন্মুক্ত আছি। রক্তস্রোত বইয়ে দেওয়ার ইচ্ছা নেই রাশিয়ার।