সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সম্প্রীতি রক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেছেন আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজারে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত কমিউনিটি রেডিও পল্লীকণ্ঠে ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘বর্তমানে অনলাইনে অপতথ্য, ভুয়া খবর ও ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ব্যাপকতা সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার জানার পাশাপাশি মতপ্রকাশ, যার যার ধর্ম বিশ্বাস ও রাজনৈতিক বিশ্বাস প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রীতির মনন গঠনে পারিবারিক শিক্ষা ও বিদ্যায়তনিক পরিবেশও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশু-কিশোরদের মানসিকতা গঠনে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্প্রীতি এবং বহুত্ববাদের চর্চা হলে সমাজ ও রাষ্ট্রে সহনশীলতার পরিবেশ তৈরি হবে।
আলোচনায় অংশ নেন নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক শাহনাজ শারমীন, মৌলভীবাজার হাফিজা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধুরী মজুমদার, তরুণ সংস্কৃতি কর্মী ডোরা প্রেন্টিস।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক শাহনাজ শারমীন বলেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহ না থাকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে গুজব ছড়াবেই। সঠিক তথ্য যথাসময়ে প্রকাশ হলে সহিংসতা ও উসকানির অনেক ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
স্কুল শিক্ষক মাধুরী মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় উৎসব সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে সকল ধর্মের শিক্ষার্থীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি হয়। যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।’
সংস্কৃতি কর্মী ডোরা প্রেন্টিস বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট ধর্মভিত্তিক আক্রমণের পাশাপাশি লিঙ্গভিত্তিক আক্রমণের ঘটনাও ব্যাপকভাবে বাড়ছে। দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এসব আক্রমণ কমে আসবে।’