1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

স্থিতিশীল’ খালেদা জিয়া, দেখা করতে চান স্থায়ী কমিটির সদস্যরা

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১১.০৫ এএম
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নিচ্ছেন চিকিৎসাও। তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। নতুন কোনো রোগ বা উপসর্গ দেখা দেয়নি।

রাজধানীর গুলশান- ২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন দুজন নার্স। নিয়মিত তাকে দেখতে যান ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. আল মামুন ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অন্যরা।

কয়েক মাস না যেতেই তার অসুস্থতা বেড়ে যায়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বছর ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে ফের রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কিছুদিন আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। টানা ৮১ দিন চিকিৎসার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া ।

খালেদা জিয়া এখন কেমন আছেন— জানতে চাইলে বিএনপি ও তার চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দুপুর আর সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে ফিরোজায় যান তার মেডিকেল বোর্ডের কোনো না কোনো সদস্য। বেশিরভাগ সময় উপস্থিত থাকেন ডা. জাহিদ ও ডা. মো. আল মামুন। তার ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারসহ (রক্তচাপ) যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, সেগুলো করেন। খালেদা জিয়ার ভালো-মন্দও জেনে নেন। এরপর তারা চিকিৎসাপত্র দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর / ছবি- সংগৃহীত

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর খালেদা জিয়ার নতুন করে কোনো রোগ বা উপসর্গ দেখা যায়নি। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল— জানান চিকিৎসকরা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর বাইরে দলীয় নেতাদের কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান না। যদিও চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কিন্তু চিকিৎসকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না

বাসায় ফেরার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন— জানতে চাইলে ডা. জাহিদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আলহামদুল্লিাহ, ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন উনাকে দেখতে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের কেউ না কেউ তার বাসায় যান। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসাপত্রে কোনো কিছুর পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হলে সেটিও করা হয়। অর্থাৎ, যতটুকু সাবধানতা অবলম্বন করা যায়, ততটুকু করেই উনাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা এখন স্টেবল (স্থিতিশীল)। চিকিৎসকরা নিয়মিত তাকে দেখতে যান। ডা. জাহিদ হোসেন নিয়মিত ম্যাডামের বাসায় যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

এদিকে খালেদা জিয়ার পরিবার ও বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বাসায় ফেরার পর বেশ হাসিখুশি ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। গত ৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডন থেকে দেশে আসেন খালেদা জিয়া নাতনি, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বড় মেয়ে জাফিয়া রহমান। দীর্ঘদিন পর নাতনিকে কাছে পেয়ে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন তিনি। দিনের বড় একটা সময় নাতনির সঙ্গে গল্প করে সময় কাটত তার।

গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নাতনি জাফিয়া রহমান লন্ডনে ফিরে গেলে কিছুটা মন খারাপ করেন খালেদা জিয়া। তবে, প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি পত্রিকা পড়েন, এরপর নাস্তা করে কিছুক্ষণ টেলিভিশন দেখেন। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করেন। দুপুরে গোসল শেষে ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে খাবার খান। বিকেলের দিকে বাসায় যদি কোনো আত্মীয় আসেন তাদের সঙ্গে গল্প করেন। সন্ধ্যায় তাকে দেখতে আসেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা চলে যাওয়ার পর রাতের খাবারসহ ওষুধ সেবন করেন খালেদা জিয়া। এরপর কিছুটা সময় টেলিভিশন দেখেন, কখনও লন্ডনে অবস্থানরত ছেলে তারেক রহমান এবং ছেলেদের বউ ও নাতনিদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। তারপর ঘুমাতে যান। এভাবেই দিন পার হচ্ছে তার।

খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘আগের মতোই আছে’— উল্লেখ করে তার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। তিনি আগের মতোই আছেন। উনার বাসাতে নার্সরা আছেন, চিকিৎসকরাও নিয়মিত তাকে দেখতে আসেন।’

প্রতিদিন দুপুর আর সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়াকে দেখতে ফিরোজায় যান তার মেডিকেল বোর্ডের কোনো না কোনো সদস্য। বেশিরভাগ সময় উপস্থিত থাকেন ডা. জাহিদ হোসেন ও ডা. মো. আল মামুন। তার ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারসহ (রক্তচাপ) যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, সেগুলো করেন। খালেদা জিয়ার ভালো-মন্দও জেনে নেন। এরপর তারা চিকিৎসাপত্র দেন

এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সাত্তার বলেন, চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী ম্যাডামের বাসায় খাবার তৈরি হয়। বাইরের কোনো খাবার ম্যাডাম খান না।

গত ১ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। ৮ ফেব্রুয়ারি তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর বাইরে দলীয় নেতাদের কেউ তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান না। যদিও চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কিন্তু চিকিৎসকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডাম বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দলের নেতাদের মধ্যে শুধুমাত্র মহাসচিব উনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। আগামীতে হয়তো স্থায়ী কমিটির নেতারাও তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।

নিজ বাসায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। চিকিৎসাও নিচ্ছেন তিনি / ফাইল ছবি

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো দেখা করতে চাই। কিন্তু চাইলেই তো হবে না। তিনি এখনও মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন। তাদের পরামর্শে তাকে চলতে হচ্ছে। তারা যখন দেখা করতে বলবেন, আমরা তখন সাক্ষাৎ করতে পারব।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে কারও সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে কথা বলার মতো শারীরিক সামর্থ্য তার নেই। এছাড়া তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার অন্যতম কারণ ছিল দেশের করোনা পরিস্থিতি। মূলত, করোনার কারণেই মহাসচিব ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

চিকিৎসকদের পরামর্শে মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের আর কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না / ফাইল ছবি

কেউ কেউ আবার বলছেন, খালেদা জিয়া মুক্ত নন, তিনি গৃহবন্দি। তার বাসায় কে আসছেন, কে যাচ্ছেন— নিয়মিত তা পর্যবেক্ষণ করছেন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার লোক। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দু-একজন ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন— অভিমত তাদের।

তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজনীতি নিয়ে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার এখন কোনো আগ্রহ নেই। নিজের শারীরিক অবস্থার দিকে বেশি মনোযোগ তার। উনি (খালেদা জিয়া) না চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কীভাবে দেখা করবেন? ম্যাডাম এখন রাজনীতিতে ছেলের সাফল্য কামনা করছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি দেখভাল করছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এছাড়া আগামীতে নির্বাচন। ফলে, ম্যাডামের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রকাশ্যে খুব বেশি আগ্রহ দেখালেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কীভাবে দেখবেন— সেটিও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে তাদের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com