1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

আল্লাহু আকবার যেসব জায়গায় বলতে হয়

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১০.৪৩ এএম
  • ২৭১ বার পড়া হয়েছে

আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বড়। তার চেয়ে বড় কেউ নেই। এই ধ্বনি এই বার্তা প্রকাশ করে। শক্তি-সামর্থের সম্মান সবদিক থেকেই মহান আল্লাহ সবার ঊর্ধ্বে। আল্লাহু আকবার এমন এক মহান শব্দ যে ধ্বনি শুনে শয়তান পালায়ন করে, লজ্জিত হয়, নিন্দিত হয়।

আল্লাহু আকবার ধ্বনি— বরকতময় এক মহান কলেমা। যে ধ্বনিতে মুমিনের চিত্ত প্রশান্ত হয়। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, আল্লাহু আকবার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ বাক্য। (তাফসিরে কুরতুবি, সুরা ইসরা, আয়াত : ১১১)

নামাজে তাকবির : আজানের মধ্যে তাকবির বলতে হয়। ঈমানের পর সবচেয়ে যে হুকুম নামাজ। সেই নামাজ শুরু হয় তাকবির তথা আল্লাহু আকবর দিয়ে। তেমনি নবজাতকের কানে তাকবির বলা। মৃত ব্যক্তির জন্য জানাজায় তাকবির বলা ইসলামের বিধান।

চাঁদ দেখে তাকবির : প্রতি মাসে যখন আকাশে নতুন চাঁদ উদিত হয়, তখন তা দেখে তাকবির বলা সুন্নত। নবী (সা.) নতুন চাঁদ দেখার পর বলতেন—

اَللّهُّمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالْإِيْمَانِ وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ رَبِّيْ وِرَبُّكَ الله

অর্থ : আল্লাহ মহান; হে আল্লাহ, আমাদের জন্য চাঁদটিকে বরকতময় (নিরাপদ), ঈমান, নিরাপত্তা ও শান্তির বাহন করে উদিত করুন। হে নতুন চাঁদ, আল্লাহ তাআলা আমার প্রভু, তোমার প্রভু। (সুনানে দারিমি, হাদিস : ১৭২৯)

হজের সময় : মুসলমানদের পবিত্র তীর্থস্থান বায়তুল্লাহ হজ। সেই পবিত্র ঘর জিয়ারতকালে উচ্চ স্বরে তাকবির বলতে হয়। কঙ্কর নিক্ষেপ করার সময়, আরোহণ করা, নিচে অবতরণ করা, তাওয়াফ করাসহ এ ধরনের সব জায়গাতেই আল্লাহু আকবার বলতে হয়। রাসুল (সা.) বলেন, জিলহজের এই ১০ দিন আল্লাহর কাছে তাকবিরের চেয়ে আর বড় কোনো আমল নেই। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬১৫৪)

আরও পড়ুন : আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম কখন পড়তে হয়?

ঈদের তাকবির : রমজান ও কোরবানির ঈদের সময় তাকবির বলা। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করো এবং তিনি তোমাদের যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

সফরে তাকবির বলা : রাসুল (সা.) যখন বাহনে আরোহণ করতেন, তখন তিনি আল্লাহু আকবার বলতেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কোথাও সফরের উদ্দেশে তাঁর উটে আরোহণের সময় তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) বলতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩১৬৬)

পশু জবাইয়ের সময় : কোনো প্রাণী জবাইয়ের সময় তাকবির বলা। আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) দুই শিংবিশিষ্ট সাদা-কালো ধুসর রঙের দুটি দুম্বা স্বহস্তে জবাই করেন। (জবাই করার সময়) তিনি ‘বিসমিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার’ বলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৯৮১)

আগুন নেভাতে : কোথাও যদি কোনো আগুন লেগে যায় তখন সজোরে আল্লাহু আকবার বলা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা কোনো জায়গায় আগুন লেগে গেছে দেখো, তখন ‘আল্লাহ আকবার’ বলতে থাকো। কেননা তাকবির আগুন নেভাতে সহায়ক হয়।’ (আমালুল ইওয়ামি ওয়াল লাইলি, হাদিস : ২৮৯)

তাকবিরের খোলে আসমানের দুয়ার : একবার রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ আদায়কালে এক ব্যক্তি বলে উঠল, ‘আল্লাহু আকবার কাবিরা ওয়াল হামদুলিল্লাহ কাসিরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসিলা’ (অর্থ : আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে বড়। সব প্রশংসা আল্লাহর। আর সকাল ও সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা বর্ণনা করতে হবে)। নামাজ শেষে রাসুল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, এ কথাগুলো কে বলল? সবার মধ্যে থেকে জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ওই কথাগুলো বলেছি। তখন রাসুল (সা.) বললেন, কথাগুলো আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ কথাগুলোর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১২৪৫)

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com