এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা বুঝি শেষ হবার নয়। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে আইভরি কোস্টের ব্যর্থ সব ক্রসের ‘জবাব’ যে মোহামেদ সালাহর মিসর দিচ্ছিল নিষ্ফলা সব ফিনিশে! ফলাফল যা হবার তাই হলো, ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে এক প্রস্থ রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ হাসটা ফুটল সালাহদের মুখেই। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে আফ্রিকান নেশন্স কাপের শেষ ষোলর লড়াইটা জিতে মিসর পাড়ি জমিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
পুরো টুর্নামেন্ট ধরেই কার্লোস কুইরোজের অধীনে মিসর খেলছে বেশ রক্ষণাত্মক ফুটবল। গোল করতে পারলে ভালো, না পারলেও সমস্যা নেই, রক্ষণটা ঠিক থাকলেই হলো- পুরো টুর্নামেন্টে এই হচ্ছে ‘ফারাওদের’ কৌশল। তাতে ভক্ত-সমর্থকদের গঞ্জনাও কম সইতে হচ্ছে না, একজন সালাহ আক্রমণভাগে থাকতে কেন দল খেলবে রক্ষণাত্মক ফুটবল?
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা খানিকটা বাড়তি তীব্রতা নিয়ে হলেও সময়ের সাথে সাথে মিলিয়ে গেছে সেটাও। তাই মিসর কোচ কুইরোজ বাধ্য হয়েই ছক বদলে ৪-২-৩-১ এ দল সাজাতে বাধ্য হন, যেন আর যাই হোক, গোল হজম করে না বসে দল। সে কৌশলে অবশ্য সফলই হয়েছেন তিনি। ম্যাচটা গড়িয়েছে টাইব্রেকারে।