সিএনএম২৪ডটকমঃ
মিয়ানমারে সেনাকে শাসনক্ষমতা ছেড়ে দিতে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে ক্ষমতা ছাড়া দূরে থাক, সেনা সু চি-র দলের আরো নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, গণতন্ত্রে সেনা কখনোই জনগণের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিতে পারে না। মানুষের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে না। তাই মিয়ানমারের জেনারেলদের বাইডেন বলেছেন, ”অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী, অধিকাররক্ষা কর্মীদের মুক্তি দিন।” অ্যামেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এর আগে জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ভাবা হচ্ছে।
তবে মিয়ানমারের সেনা কর্তারা বাইডেনের কথায় কান দেবেন বলে মনে হয় না। কারণ, তাঁরা এখন সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির(এনএলডি) নেতাদের গ্রেপ্তার করছেন।শুক্রবার সকালে সু চি-র দলের প্রবীণ নেতা উইন টিইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবারই সু চি ও তাঁর দলের অন্য নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর তাঁদের কোথায় রাখা হয়েছে তা জানানো হয়নি। ইয়াঙ্গন সহ অন্য জায়গায় ফোন ও নেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ফেসবুক দেখতে দেয়া হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপও নয়। মিয়ানমারের প্রধান টেলিকম অপারেটর টেলিনর জানিয়েছে, ফেসবুক ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে। অধিকাররক্ষা কর্মী থিনজার সুনলেই ই বলেছেন, তাঁরা আইন অমান্য আন্দোলনে নামছেন। ইয়াঙ্গনে রাতে প্রতিবাদও হচ্ছে। কিছু স্বাস্থ্যকর্মী ধর্মঘট করছেন। মান্দালয়েও বিক্ষোভ হয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছিল। তাই তারা ক্ষমতাদখল করেছে। এক বছরের জন্য তারা ক্ষমতায় থাকবে। এরপর বিশ্বজুড়েই মিয়ানমারের সেনাঅভ্যুত্থানের নিন্দা করা হয়েছে। বাইডেন তো সরাসরি সেনা কর্তাদের ক্ষমতা ছাড়ার কথা বলেছেন। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, এই অভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ হয়, তার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক শক্তিগুলিকে সংহত করবেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কূটনীতিকদের দাবি, চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের সমর্থক। তাই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদ কোনো ব্যবস্থা নিতে গেলে চীন ও রাশিয়া ভেটো দিতে পারে।