বিশেষ প্রতিবেদকঃ
ছদ্ম নাম রুনা বলেন,আমি স্বামী পরিত্যাক্তা। আমি আমার উক্ত ভাবীর কেরাণীগঞ্জস্থ ঠিকানার বাসায় থাকিয়া ভাই মোঃ সোহেল এর পরিচালিত পোষাক কারখানায় কাজ করিয়া জীবন যাপন করিয়া আসিতেছি এবং অন্যত্র ভাল কাজের সন্ধান করিতেছি। গত ইং ১০/০২/২০২১ তারিখ আমার পূর্ব পরিচিত সনজিব দাস (৩৭) এর সাথে আমার দেখা হয়। অতঃপর সে আমার কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া আমাকে ব্যাংকে ভাল একটা চাকুরী দিবে বলিয়া আশ্বাস দেয় এবং আমার মোবাইল নাম্বার নেয়। পরবর্তীতে ইং ১৫/০২/২০২১ তারিখ বেলা অনুমান ০৪.০০ ঘটিকায় আমার মোবাইল-এ ফোন করিয়া ব্যাংকে ভাল চাকুরীর সন্ধান আছে বলিয়া আমাকে মাদারটেক টেম্পু স্ট্যান্ডে যাইতে বলে।
রুনা বলেন,আমি তাহার কথা বিশ্বাস করিয়া সরল বিশ্বাসে ঐ দিন সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় মাদারটেক টেম্পু স্ট্যান্ডে যাওয়ার পর সনজিব দাস আমাকে সেখান থেকে তাহার দক্ষিণ মাদারটেকস্থ ১২৫/গ বাসার ৬ষ্ঠ তলায় অনুমান সন্ধ্যা ৬.১৫ ঘটিকার সময় নিয়া যায় এবং ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে পরিচয় ও কথা বলার জন্য আমাকে ফ্ল্যাট বাসার একটি কক্ষে বসাইয়া সে বাসা থেকে বাহিরে যায়। পাশের রুমে ১জন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা দেখিতে পাই। মহিলা বলে তাহারাও ব্যাংকে চাকুরী করে। ব্যাংক কর্মকর্তাগণ উক্ত ঠিকানার বাড়িতে থাকেন। পরবর্তীতে ইং ১৫/০২/২০২১ তারিখ রাত্রি অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় সনজিব ৩ জন লোক নিয়া
আমি বসে থাকা কক্ষে আসে এবং তাহারা ব্যাংকের লোক বলিয়া পরিচয় দেয়। তাদের নাম, আজিজুর রহমান (৪০), জামাল (৩৫), মোঃ রাসেল (৪৫) বলিয়া সনজিব জানায়।
রুনা বলেন, অতঃপর তাহারা আমার চাকুরীর বিষয়ে তথ্য জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সনজিব, জামাল ও রাসেল গণ পাশের রুমে যায় এবং আজিজুর রুমে থাকে। রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আসামী আজিজুর রুমের ভিতরে বিছানার তোষকের উপর আমাকে জোর পূর্বক শোয়াইয়া ঝাপটাইয়া ভয় দেখাইয়া আমার পরিহিত সেলোয়ার খুলিয়া বিবস্ত্র করিয়া একাধিকবার ধর্ষণ করে। অতঃপর পর্যায়ক্রমে আসামী সনজিব, জামাল ও রাসেলগণ রুমে ঢুকিয়া পর্যায়ক্রমে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ৫ নং মহিলা আসামী অপর আসামীদেরকে সহায়তা করিয়াছে। আমি সনজিবকে এহেন কার্যকলাপের কথা জিজ্ঞাসা করিলে সে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখাইয়া সম্পূর্ণ রূপে বিবস্ত্র করিয়া মোবাইলে আমার নগ্ন ছবি উঠায়। পরবর্তীতে আসামী সনজিব আমাকে ঘটনার বিষয় কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখাইয়া মাদারটেক টেম্পু স্ট্যান্ডে নিয়া যায়। আমি কোন রকম সেখান থেকে গাড়িতে উঠিয়া কেরাণীগঞ্জস্থ ভাবীর বাসায় যাই এবং ঘটনার বিস্তারিত ভাবীকে বলি। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হইয়া পড়িলে ভাবী আমাকে ইং ১৬/০২/২০২১ তারিখ রাত্রি অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের নিয়ে গেলে তথায় ডিউটিরত পুলিশ ঘটনা শুনিয়া আমাকে হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে নিয়া ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আমি ইং ১৬/০২/২০২১ তারিখ থেকে ইং ২০/০২/২০২১ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন শেষে ওসিসি বিভাগ আমাকে ছাড়পত্র দিলে ভাবী আমাকে বাসায় নিয়া আসে। আমি হাসপাতাল থেকে বাসায় আসার পর ঘটনার বিষয় নিয়া আমার আপনজনদের সাথে বুঝ পরামর্শ করিয়া থানায় আসিয়া ২৮/০২/২০২১খ্রিঃ সন্ধ্যা ৬.৩০মিঃ-এর সময় লিখিত এজাহার দেই।
এজাহার পাওয়ার পর থানার অফিসার ইন চার্জ ,ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন -এর নিদের্শে আমাকে মহিলা কনেষ্টেবল দিয়ে আটক করে।এরপর শুরু হয় আমার উপর মানুষিক টর্চার। এরপর আমার কাছ থেকে আসামীদের মোবাইল নাম্বার নেয় ওসি। আসামীদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে চলে গোপন লেনদেন । রাত ১০ ঘটিকার সময় সবুজবাগ জোনের এসি রাসেদ খান থানায় এসে আমার সাথে যাওয়া ভাবীকেসহ আমাকে, আসামীদের পক্ষ অবলম্বন করে মামলা না করার জন্য হুমকী প্রদান করে ও নানা ধরনের লজ্জাদায়ক কথা বলে হেওপতিপন্ন করে।
এসি চলে যাওয়ার পর আমাকে থানায় আটক করে মহিলা পুলিশ দ্বারা পাহারা দিয়ে কুকুর-শিয়ালের মত পুলিশ সারারাতভর আচরন করে অন্যদিকে মামমলা না করার জন্য কু-পরামর্শ দিতে থাকে। পরিবারের লোকজনদের থানা থেকে বের করে দেয় এবং গভীর রাতে আসামীদের সাথে পুলিশ গোপনে যোগাযোগ করে ঘটনাস্থলের বাসা থেকে অন্যত্র সরে যাওয়ার সহায়তা করে ।
অতপর ০১/০৩/২০২১ খ্রিঃ বিকাল ৪ ঘটিকার সময় মামলা না হওয়ায় আমি (ভিকটিম) পুলিশকে বলি আমি কোন মামলা করিবোনা থানায়ও আসবোনা দয়া করে আমার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে দিন।তখন নারী কনেষ্টবল আমাকে মারধোর করে । এক পর্যায়ে আমি ৯৯৯ কে আমার সাথে থাকা মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবগতি করি। তখন ডিউটিরত পুলিশ আমাকে কোথাও কোন কিছু না বলার জন্য স্বান্তনা দেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার সময় ওসি সাহেব থানায় এসে আমাকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে বলে তোমার ঘটনার বিষয়ে মামলা হচ্ছে।
সবুজবাগ জোনের এসি-কে মোবাইল ফোনে না পাওয়ায় তাহার কোন বক্তব্য দেওয়া যায়নি।
সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভিকটিমকে কেহ মারধোর করে নাই এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ডিউটি অফিসার এসআই মফিজুল ইসলাম ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন, এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি তবে প্রকৃয়াধীন আছে।