ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের জন্য শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন চালু করা হবে। পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর জিরো পয়েন্ট এলাকায় পণ্যভর্তি ট্রাক যাতায়াতের রাস্তা দুই লেনে উন্নতিকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। তবে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকদের মাঝে বেশ কিছু জটিলতা ছিল। ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে এসব সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। পরে তিনি এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়ার জন্য দুই লেন রাস্তা তৈরি করার বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এছাড়া পাথর আমদানি-রপ্তানিতে যে দীর্ঘ ৩০-৩৫ দিন সময় লাগে, তা ৫-৭ দিনে কমিয়ে আনার বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের প্রতিনিধিদের কথা দিয়েছেন। আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের বিভিন্ন দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান রাজুর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি এবং সোনামসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টুসহ অন্যান্যরা।
পরে ছোট সোনামসজিদে বীরশ্রষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিনের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তারপর তিনি ঐতিহাসিক ছোট সোনামসজিদের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) আতিউর রহমান, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব-আল-রাব্বী, সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদসহ অন্যান্যরা।