চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী হত্যা মামলায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইসহাককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ছয় বছর পলাতক থাকার পর গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
সোমবার রাউজান থানার সুলতানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বিকেলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৫ মার্চ নিজের বাসায় পারভিন আক্তারকে (৩৬) খুন করে বাসা থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ট্যাব ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে ৭ মার্চ বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর আদালত আসামি ইয়াসিন, মনসুর, আবু তৈয়ব রানা ও ইসহাককে মৃত্যুদণ্ড দেন। ঘটনার পর থেকে আসামি মো. ইসহাক সু-কৌশলে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ ছয় বছর আত্মগোপন করে থাকেন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক বলেন, পারভিন হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইসহাককে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় রাউজানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসহাক পারভিন আক্তারকে হত্যায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, পারভিন আক্তারের স্বামী মো. নুরুল আলম ও তার বড় ভাই আব্দুস শুক্কুরের যৌথ মালিকানায় থাকা রৌফাবাদের বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিতে ছয়তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. ইয়াছিন দারোয়ান হিসাবে কাজ করছিলেন। ইয়াছিন তাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়ও।
মো. নুরুল আলম ও তার বড় ভাই আব্দুস শুক্কুর আবুধাবীতে ব্যবসা করেন। তারা ইয়াসিনকে আবুধাবীতে নিয়ে যান। সেখানে আব্দুস শুক্কুরের সঙ্গে আসামি ইয়াসিনের মনোমালিন্য হয়। একপর্যায়ে ইয়াসিন দেশে চলে আসেন। এতে মো. নুরুল আলম ও তার বড় ভাই আব্দুস শুক্কুরের ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার কারণে আসামি ইয়াসিন মো. নুরুল আলম ও তার বড় ভাইয়ের ক্ষতি করার জন্য তার বন্ধু মো. মনসুরের সঙ্গে পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা মতে তাদের সঙ্গে মো. আবু তৈয়ব রানা ও মো. ইসহাককে সঙ্গে নেন। পরে ৫ মার্চ রাতে আসামিরা নুরুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে তার শাড়ি খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে হত্যা করে।