1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

বিমানবন্দর হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর হবে কুয়াকাটা

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৫.৩৩ পিএম
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর কুয়াকাটা। এর রয়েছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত। দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা অন্যতম একটি পর্যটনকেন্দ্র। ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী সুখ্যাতি অর্জন করেছে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটা।

সমুদ্রের গর্জন, উথাল-পাতাল ঢেউ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, দীর্ঘতম সৈকত দেশি-বিদেশি ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। কিন্তু এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিমানবন্দর না থাকায় পর্যটকরা আসছেন না, এমনটাই দাবি করেছেন পর্যটননির্ভর প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা।

বিশাল সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। যার ডাকে সায় দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আকর্ষণে বারবার ছুটে আসে সৌন্দর্যলোভী পর্যটকরা। বিশেষ করে পুঞ্জিকার পাতার ছুটির দিনে ব্যাপক পর্যটকদের চাপ থাকে এখানে। এ সময় আবাসিক হোটেলগুলোর ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পর্যটক আসেন। একবার এলেই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটার প্রেমে পড়েন যে কেউ। বারবার বেড়াতে আসার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে ভ্রমণপিপাসুদের।

ছোট্ট একটি গ্রাম কুয়াকাটা আজ সারা বিশ্বব্যাপী পরিচিত। পর্যটকদের পদভারে মুখরিত কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র সুখ্যাতি অর্জন করেছে। কিন্তু বিমানবন্দর না থাকার কারণে সমৃদ্ধ হচ্ছে না সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা, এমনটাই দাবি করছেন আগত পর্যটকরা।

পিরোজপুর থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন বন্ধু মিলে জাহিদ পারভেজ এসেছেন কুয়াকাটা উপভোগ করতে। সৈকতে দাঁড়িয়ে কথা হলে তিনি বলেন, কুয়াকাটায় বিমানবন্দর থাকলে খুবই ভালো হতো। আকাশপথের আনন্দ ও সৈকতের আনন্দ, দুটোই উপভোগ করতে পারতাম।

তাদের টিমের আরেক বন্ধু মিলন বলেন, সড়কপথে অনেক সময় লেগেছে। যদি বিমানে আসতে পারতাম, তাহলে সময় অনেক কম খরচ হতো। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পেতাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুয়াকাটাকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ বহু আগে শুরু হলেও মূলত ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের জন্য বিখ্যাত কুয়াকাটা সৈকত ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল। এ কারণে বেড়েছে প্রশাসনিক নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।

সৈকতের কোল ঘেঁষে রয়েছে বিশাল বনাঞ্চল। সুন্দরবনের পূর্বাংশ ফাতরার বন, লেম্বুর বন, নারকেলবাগান, ঝাউবাগান, গঙ্গামতী ও কাউয়ার চরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল অন্যতম। পর্যটকরা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে আশপাশের পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি সমুদ্রের কোলঘেঁষা বনাঞ্চল ঘুরে ফিরে ছবি তোলেন। আকাশপথের সুযোগ না থাকায় দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা আসছেন না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটার পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী জাকারিয়া জাহিদ বলেন, কুয়াকাটায় জরুরি ভিত্তিতে আমাদের বিমানবন্দর দরকার। যদি বিমানবন্দর থাকত, তাহলে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি পর্যটক পেতাম। যেভাবে কক্সবাজারে এখন যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কুয়াকাটায় সেভাবে পাচ্ছি না। যদিও কুয়াকাটাও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াকাটার সঙ্গে আকাশপথের যোগাযোগব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্রের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিমানবন্দর হলে এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসবেন। এতে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে আমাদের কুয়াকাটা।

আভিজাত হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের জেনারেল ম্যানেজার আল-আমিন বলেন, কুয়াকাটায় বিদেশি পর্যটকদের সেবা দেওয়ার মতো অনেক হোটেল আছে। কিন্তু বিমানবন্দর না থাকার কারণে বিদেশি পর্যটকরা খুব একটা আসছেন না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। এখানে সড়কপথের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেও আকাশপথের কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। বিমানবন্দর হলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরি। বিমানবন্দর না থাকার কারণে পর্যটক কম আসছেন। তাদের আনতে গেলে এবং স্থানীয় ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com