তিন দিন সূচক বৃদ্ধি ও দুই দিন পতনের মাধ্যমে আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এ সপ্তাহে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন বেড়েছে।
তবে বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় সূচক কমেছে। তাতে নতুন করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি (অর্থাৎ বাজার মূলধন) কমেছে প্রায় সাড়ে ৭শ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে (৩০ জানুয়ারি-৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ১৬৬টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়নি চারটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে।
তিনটি সূচকের মধ্যে দুটি সূচকই কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ৭২০ কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৩০ জানুয়ারি) লেনদেন শুরুর দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬২ হাজার ৯০২ কোটি ৯৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৪ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬২ হাজার ১৮২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৫ টাকা।
পুঁজি কমলেও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৭৯ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৬ টাকা। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪২৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৬ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬ হাজার ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৯২০ টাকা।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৫৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টি কোম্পানির।
তাতে এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৫৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৫১ টাকার।