রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত সমাধানে থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য আসিয়ানের সমন্বিত ও সক্রিয় সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদুনাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশটির সমর্থন চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফোনালাপে ড. মোমেন মানবিক কারণে অতিরিক্ত ১.১ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ যে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে তা অবহিত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদুনাইকে অভিনন্দন জানান। এ সময় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে একমত হন। ড. মোমেন ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের বাজারে থাই সরকারের ডিএফকিউএফ স্কিমের প্রস্তাবের প্রশংসা করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে থাই বিনিয়োগের কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে থাই বিনিয়োগকারীদের আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশের দেওয়া বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রণোদনা এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে থাই সরকারের উল্লেখযোগ্য সহায়তার প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উভয় দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের বহনে ১৭টি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গতিশীল করতে সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ে জোর দেন।