কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী জান্নাতুল আক্তারের ড্রয়ার থেকে ৩ লাখ ১ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাৎক্ষণিকভাবে টাকার উৎস সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বা রেকর্ডপত্র দিতে পারেননি তিনি। বর্তমানে জান্নাতুল আক্তারকে দৌলতপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পালের নেতৃত্বে এক অভিযানে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, কুষ্টিয়ার জেলার দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমির দলিলের নকল প্রদানে ঘুষ দাবির অভিযোগে আজ অভিযান পরিচালিত হয়ে। অভিযানে দুদক টিম তল্লাশি করে দৌলতপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী জান্নাতুল আক্তারে ড্রয়ার থেকে ৩ লাখ ১ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উক্ত টাকার উৎস সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা/রেকর্ডপত্র দিতে অসমর্থ হন।
অভিযান সূত্রে আরও জানা যায়, দুদক টিম জানতে পারে আজ ওই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে মোট ২৮৩টি দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা পড়ে। তবে বর্তমানে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নগদে কোনো ধরনের ফি/টাকা নেওয়ার বিধান নেই। দলিল রেজিস্ট্রেশনের ফি পে-অর্ডারের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাই, প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করা অব্যাখ্যায়িত টাকা ঘুষের অর্থ বলে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
আরও জানা যায়, কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরের সাব-রেজিস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সুব্রত কুমার সিংহ। যার মূল পোস্টিং কুষ্টিয়ার সদরের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে।
অর্থ উদ্ধারের বিষয়ে দুদক টিম মামলা দায়েরর সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এদিকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান থাকায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জান্নাতুল আক্তারকে দৌলতপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।