আজ সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ সকাল ১১টায় বিএনপি’র জাতীয় নেতারা শেরে বাংলা নগরের শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২০ জানুয়ারি নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হবে।
দিনটি উপলক্ষে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান এক ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। যুদ্ধে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন।
তিনি বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতির অপরাজনীতি দ্বারা জনগণকে প্রতারিত করে স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন মহল যখন মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাকে হরণ করে গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়েছিল, দেশকে ঠেলে দিয়েছিল দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে, দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আন্তর্জাতিক খেতাবপ্রাপ্তির মতো জাতির এরকম এক চরম দুঃসময়ে ৭ই নভেম্বর সৈনিক- জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহীদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয় এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মর্যাদার আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, শহীদ জিয়ার জন্মদিনে তার প্রদর্শিত পথেই আমরা স্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক শক্তির থাবা থেকে মুক্ত হবো ও গণতন্ত্র ফিরে পাবো। এজন্য সর্বশক্তি দিয়ে ‘গণতন্ত্রের মা’ গৃহবন্দি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমরা দেশনেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
জিয়াউর রহমানের ডাক নাম ছিল কমল। যুদ্ধের পর ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন জিয়াউর রহমান। নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।