মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

বকেয়া পাওনার দাবিতে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ জুন, ২০২১, ১.৫২ পিএম
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে
বকেয়া পাওনার দাবিতে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

সিএনএম প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বকেয়া পাওনার দাবিতে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে কুনতুং এ্যাপারেলস লিমিটেড (ফ্যাশন সিটি) নামক একটি পোশাক কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা বকেয়া পাওয়ানার দাবিতে সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলরত শ্রমিকদের বাধা দিলে একপর্যায়ে ইপিজেডের আনসার সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, মালিকপক্ষের দেওয়া সময় অনুযায়ী শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ডেমরা-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কে ইপিজেডের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান নেয় প্রায় দুই শতাধিক পোশাক শ্রমিক। শ্রমিকদের অভিযোগ, এ সময় ইপিজেডে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। প্রায়ই শ্রমিকদের সাথে আনসার সদস্যরা অশালীন আচরণ ও নির্যাতন করে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) কর্মকর্তারা কারখানা মালিকদের পক্ষে কাজ করে। বেপজা-পুলিশ কারও কাছেই তারা বিচার পান না।

ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী ও সহকারী কমিশনার (সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল) রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনরত শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের কথা না মেনে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ও আনসারদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শ্রমিকরা। এক সময় শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা টিয়ারসেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। পরে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় ১১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। দফায় দফায় সংঘর্ষে এতে পুলিশ ও সাংবাদকিসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়।

পোশাক শ্রমিকরা বলেন, আমরা ৬ বছর ঐ কারখানায় কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের বকেয়া পাওনা এখনো পাইনি। ৬ বছরে প্রায় ২ লক্ষ টাকা জমেছে বলে এই নারীর শ্রমিকের দাবি।

শ্রমিক বলেন, ৯ বছরে তারও প্রায় ২ লাখের বেশি টাকা জমেছে। কিন্তু বার বার আশ্বাস দিয়েও তাদের পাওনা পরিশোধ করছে না মালিকপক্ষ।

সহকারী কমিশনার ভূমি (সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেল) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, শ্রমিকরা জানিয়েছে মালিকপক্ষ তাদেরকে বার বার সময় দিয়েও পাওনা পরিশোধ করছে না। শ্রমিকদের পাওনা আদায়ে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে এবং ১১টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকপক্ষ কিছুই জানায়নি।

বেপজার জেনারেল ম্যানেজার আহসান কবির বলেন, কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে ফ্যাশন সিটির মালিকপক্ষ। তবে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে কোনো সময় বা তারিখ দেওয়া হয়নি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com