যাত্রাবাড়ী থানার এক গণধর্ষণ মামলার আসামিকে মুক্তি দিয়ে নিরপরাধ এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে এক সাংবাদিক পুলিশের মারধরের শিকার হন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সহ বিভিন্ন দপ্তরে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগের বিবরণ
গত ১৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা নং-৮০ (বাৎসরিক নং-২৮৫) দায়ের করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর আওতায় এই মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন সাহিদা নামের এক নারী।
মামলায় ছয় নম্বর আসামি হুমায়ুন কবির মিরাজ, পাঁচ নম্বর আসামি রফিকুল ইসলাম রনি এবং আট নম্বর আসামি মোঃ রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে যে, মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি তদন্ত ও ওসি অপারেশন গোপনে তাদের মুক্তি দেন।
কিন্তু ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পুলিশ নির্দোষ ব্যবসায়ী বেলাল শেখকে গ্রেফতার করে এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ৬ নম্বর আসামি হুমায়ুন কবির মিরাজ হিসেবে চালিয়ে দেয়। এরপর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ
২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে এক সাংবাদিক যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করতে গেলে তিনি বর্বর নির্যাতনের শিকার হন। অভিযোগ রয়েছে যে, থানার ওসি তদন্ত ও ওসি অপারেশন তাকে থানার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারাও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
পরে থানার হাজতে নেওয়ার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়। সাংবাদিক জানান, পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, “আজকের পর থেকে আর কোনোদিন মানবাধিকার কর্মী বা সাংবাদিক হিসেবে থানায় আসবি না। আমরা যেভাবে চাই, সেভাবেই কাজ হবে। বাহিরে কোনো তথ্য ফাঁস করলেই জীবন রক্ষা হবে না।’’
পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
অভিযোগকারী আরও জানান, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় ৩৩-৩৪টি আবাসিক হোটেলের আড়ালে অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে, যা থেকে প্রতি মাসে ৮-১০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এ টাকার একটি বড় অংশ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও কমিশনারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
তিনি দাবি করেন, “ওসি তদন্ত রমজান স্যার ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন এবং বর্তমান আইজিপি ও কমিশনারের কাছে প্রতি মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা পৌঁছে দেন।’’
হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ
থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সাংবাদিক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঝঝগঈ