ফ্যাসিবাদ সরকারের ভূমিদস্যুদের কবল
থেকে জমি ও ফ্ল্যাট উদ্ধারের আকুতিনিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। ভূমি মালিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির ডেভেলপার কোম্পানি প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। তারা জমির মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে সেই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে জমির মালিকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে অতি গোপনীয়তার সাথে অন্য ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
সম্প্রতি ঢাকার মুগদা থানাধীন মান্ডা এলাকায় এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন বহু জমির মালিক। অভিযোগ উঠেছে, শাপলা সিটি লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।
জমি ও ফ্ল্যাট দখলের কৌশল
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা চুক্তি অনুযায়ী জমি বুঝিয়ে দিলেও প্রতিষ্ঠানটি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেনি। উল্টো ফ্ল্যাট মালিকরা ফ্ল্যাট বুঝে নিতে গেলে তাদের হুমকি ও সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনকি ভূমি মালিকদের ফ্ল্যাটের আশপাশে যেতে দেওয়া হয় না। সন্ত্রাসী ভাড়া করে তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমির মালিক রেজাউল করিমসহ কয়েকজন মিলে মানবাধিকার কর্মীদের বিষয়টি অবহিত করেছেন।
ভবনের ভেতরে ও আশে পাশে চলছে অপরাধমূলক কার্যক্রম
এলাকাবাসীর দাবি, উক্ত ভবনের ভেতরে জুয়া, মাদক ব্যবসা, জাল টাকার লেনদেনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির গোপন মদদ রয়েছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমরা দেখেছি, ভবনের ভেতরে অচেনা লোকজন নিয়মিত আসে—যায়। মাদকসেবন ও জুয়ার আসর বসে। রাত হলে আশপাশের পরিবেশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।”
স্থানীয় থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে ও ফ্ল্যাট বুঝে পেতে একাধিকবার স্থানীয় মুগদা থানায় গিয়েছেন। কিন্তু থানার কর্মকর্তারা কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং তারা উল্টো ভুক্তভোগীদের বলছেন, “এই জমি ও ফ্ল্যাট নিয়ে আশা বাদ দিন, আদালতে মামলা করুন পরে দেখা যাবে।”
এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কেন পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে? কেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
ভবন নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা
ভবন নিয়ে প্রকৃত মালিক ও প্রতারিত ব্যক্তিদের মধ্যে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি
১. জমির প্রকৃত মালিকদের তাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে হবে।
২. ভবন থেকে দখলদার ও অপরাধীদের উৎখাত করতে হবে।
৩. ভূমিদস্যু ও প্রতারকদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪. পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বড় ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন দেখার বিষয়, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
উল্লেখিত বিষয়ে ”হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী, মানবাধীকার সংগঠন জনস্বার্থে মোঃ আলমগীর সেলিম মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা , ভূমি উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, মহা—পুলিশ পরিদর্শক, ডি.আই.জি, পুলিশ কমিশনার, মহা—পরিচালক, অধিনায়ক, র্যাব—০৩, অধিনায়ক, র্যাব—১০, উপ—পুলিশ কমিশনার , যুগ্ন পুলিশ কমিশনার [ক্রাইম]—এর বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। যাতে করে অসহায় জমির মলিকদের উপর জুলুম অত্যাচার ও শাপলা ডেভলাপার লিঃ কতৃর্পক্ষের দুর্নীতি বন্ধ করে তাদের পাওনা ফ্ল্যাটগুলো দলিল মোতাবেক বুঝিয়ে দেয় এবং প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের অপ্রভাব থেকে জমি ও ফ্ল্যাটের মালিকরা মুক্তি পায়।