স্থানীয় প্রতিবেদক :
কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ বাশজানী গ্রামে মাদক, গরু পাচার এবং অবৈধ চোরাচালানের দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনদিক ভারত দ্বারা ঘেরা এই গ্রামে পূর্বে ঝাকুয়াটারী, পশ্চিমে বাঁশবাড়ি এবং উত্তরে নাউডোর পাড়া থাকলেও বেশ কিছু এলাকায় কাটাতারের বেড়া না থাকায় সীমান্তের দুই পাশে অবৈধ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন থাকলেও কিছু অসাধু দালালের মাধ্যমে পাচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জানা গেছে, এখান থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ভারতীয় কসমেটিকস এবং গরু পাচার করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “এই গ্রামে প্রায় ৬০ জন লোক মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের পরিচিতি সবার জানা থাকলেও প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
স্থানীয় বিজিবি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। বিজিবির সামনে দিয়েই প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় পণ্য অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। বিশেষ করে ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ লক্ষ টাকার কসমেটিকস পারাপার হলেও বিজিবির কোনো কার্যকর ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
এছাড়াও, স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সবুরের নিকট আত্মীয়দের বিরুদ্ধে গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গরু পাচার ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্যও উঠে এসেছে। পাথরডুবী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, সহ-সভাপতি প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুস সামাদসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসার বিস্তার নিয়ে সুশীল সমাজের উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু প্রশাসন ও বিজিবি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় চোরাচালান ও মাদকের ব্যবসা আরও তীব্র হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।