কুমিল্লার তিতাসে দীর্ঘদিনের চাষকরা মৎস প্রকল্পের মাছ প্রকাশ্য দিবালোকে লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামের মৎসখামারী মোঃ নাজির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ এহসান গংয়ের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মানিককান্দি ভূইয়া বাড়ী জামে মসজিদ কমিটির নিকট থেকে মৎস প্রকল্পটি ৫বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন একই গ্রামের মোঃ আবুল কালাম মোল্লার ছেলে মোঃ নাজির হোসেন।
কিছুদিন যাবৎ প্রতিপক্ষ এহসান, নূরে আলম, মোকাররম, আব্দুল লতিফ, স্বপন মিয়া, সুমন মিয়া, বিল্লাল হোসেন, মনির হোসেন,মামুন,মুকতল হোসেন ও আলমসহ ৩০/৩৫জনের একটি গ্রুপ শ্যালো ইঞ্জিন বসিয়ে প্রকল্পের পানি সেচে মাছ ধরার মহোৎসব চালাচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ডিসেম্বর বুধবার বিকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায়।
মৎস প্রকল্পটি থেকে শ্যালু ইঞ্জিনের মাধ্যমে একদিকে পানি সেচের কাজ চলছে এবং অন্যদিকে শুকিয়ে যাওয়া পাশ থেকে চাষকৃত মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষরা।
নাজির হোসেন এর মা মোসাঃ তাহেরা বেগম বলেন, প্রকল্পে আমার ছেলে মাছ চাষ করেছে। গত কিছুদিন ধরে মিশিন দিয়া পানি সরাইয়া মাছ ধইরা নিতাছে। এমন ৫টা প্রকল্পের মাছ ধইরা নিয়া গেছে তারা। এর আগে আমাদের ঘর-বাড়ী আগুন দিয়া পুড়াইয়া দিছে। আমরা ভয়ে ভয়ে বাড়ীতে থাকি।
অভিযোগের বিষয়ে মানিককান্দি গ্রামের এহসান মিয়া জানান, প্রকল্পের ভিতরে আমাদের ৩জনের নামে ৩১শতক জমি আছে। আমাদের জমি কারো কাছে না বলে জোর করে এতদিন আবু মোল্লার লোকজন মাছ চাষ করেছে। এহন আমরা আমাদের জমিতে ফসল করার জন্য পানি সেচতেছি।
দলিল মূলে জায়গার একাংশের অপর মালিক, মোঃ নূরে আলম বলেন, কে মাছ চাষ করছে জানি না। আমাদের জমিতে ফসল করার জন্য আমরা পানি সেচতেছি। তিনি বলেন, আমাদের জায়গা মসজিদ কমিটি লিজ দেয়ার কে? যদি তেমনটি হয়, কাগজপত্র দেখাতে বলেন।
এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. কাউসার ভূঁইয়া বলেন, পুকুরটি মসজিদ কমিটি থেকে লিজ নিলেও পুরো টাকা দেয়নি। আবু মোল্লা পূর্বে জোরপূর্বক এসকল জমি গুলো ভোগ দখল করছে। তবে প্রজেক্টের মাছ গুলো নাজির চাষ করেছেন।
ভূঁইয়া বাড়ি বাইতূন নূর জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খায়রুল ভূঁইয়া জানান, মসজিদের ১২শতাংশ জায়গা ৪০হাজার টাকার বিনিময়ে ৫বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে। যারা ৩১শতক জায়গার দাবি করছে, তাদেরটা শুকনা জমি-পানি বৃদ্ধি পেলে সেখানে তলায়-মূল পুকুর আমাদের মসজিদের জায়গাটি।
একই কথা জানালেন মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ ফরহাদ ভূঁইয়া, তিনি বলেন, আমরা নাজির ভূঁইয়ার কাছে ৫বছরের জন্য টাকা নিয়েই লিজ দিয়েছি। কোন জোর করে মাছ চাষ করেনি। তবে ৩১শতাংশ জমির মালিক যারা দাবি করছে-তাদের জায়গা মসজিদের জায়গার পশ্চিম দিকের শুকনা জমি।