সিএনএমঃ
কম দাম, ঘরোয়া স্বাদ ও ব্যতিক্রমী নামের কারণে লক্ষ্মীপুরে সাড়া ফেলেছে ‘ভাবির হোটেল’। ভোজনরসিকরা প্রতিদিনই রায়পুরা উপজেলার টিএনটি রোড ফিলিং স্টেশনের পাশে ছোট্ট টিনের ছাপরা ঘরে ভিড় করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাবির হোটেলের কোনো সাইনবোর্ড নেই। তবে স্থানীয়রা এটি ‘ভাবির হোটেল’ নামেই চিনেন।
জানা যায়, ভাবির হোটেল পরিচালনা করেন আবুল কালাম কালু ও জেসমিন বেগম দম্পতি। তাদের দুই যুগের সংসারে আবুল কালাম কালু অনেক কাজ করলেও সফলতা পাননি। প্রায় চার বছর আগে স্বামী-স্ত্রী মিলে খাবারের হোটেল দিলে ভাগ্য ফিরে এই দম্পতির।
সাইফ নামে এক গ্রাহক বলেন, সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার ভাবির হোটেলেই খাই। এখানে আর বাড়ির খাবারের একই স্বাদ। সকল শ্রেণি-পেশার লোকজন এখানে খেতে আসেন। এছাড়া খাবারের দামও তুলনামূলক কম।
ভাবির হোটেলের নামকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে জেসমিন বেগম বলেন, সকল রান্না আমি নিজে করি। চেষ্টা করি, গ্রাহকদের ঘরোয়া খাবারের স্বাদ দিতে। তাই হয়তো তারা ভালোবেসে ‘ভাবির হোটেল’ নাম দিয়েছেন।
কী কী খাবার পাওয়া যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোর থেকে ভাত, ডাল, খিচুড়ি, মাছ, মুরগি, গরুর মাংস পাওয়া যায়। কম দাম, ঘরোয়া স্বাদ ও ব্যতিক্রমী নামের কারণে মানুষের কাছে ‘ভাবির হোটেল’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে মনে করি।