সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঘুমন্ত স্বামীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
১১ আগস্ট, রবিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের খোসালখালী গ্রামে স্ত্রী খাদিজা ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্বামী হোসাইনকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
খুলনায় শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হলে খাদিজা স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেন। শিক্ষার্থীরা তাকে হরিনটানা থানায় সোপর্দ করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ঘাতক খাদিজাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডা. সনজিত দাশ।
তিনি জানান, শ্যামনগর থানার কার্যক্রম চালু না থাকায় একজন উপ-পরিদর্শকের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ এবং খুলনা হরিনটানা থানা পুলিশ ঘাতক খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে।
পরিবারের বরাত দিয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী খাদিজা তার স্বামী হোসাইনকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর ভোরে ঘাতক খাদিজা স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে বিআরটিসি বাসযোগে খুলনা যাওয়ার সময় তার কথাবার্তা ও আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়।
একপর্যায়ে বাসের সুপারভাইজার তাকে খুলনায় পৌঁছানোর পর সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। ছাত্র সমাজের কাছে খাদিজা স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর তারা তাকে খুলনা হরিনটানা থানায় সোপর্দ করেন।