আগামী মাসে সৌদি আরব ও ইসরায়েল সফর করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলতি সপ্তাহে এই সফরের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে হোয়াইট হাউস। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে বলে সোমবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ওই সূত্রটি বার্তাসংস্থাটিকে জানিয়েছে, আগামী মাসে অর্থাৎ জুলাইতে অনুষ্ঠিতব্য সৌদি আরব সফরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে একটি বৈঠক করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউস অবশ্য আগেই বলেছিল যে, ২০১৮ সালে তুরস্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট এবং সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিজের ভূমিকার জন্য সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘পারিয়াহ’ বা অস্পৃশ্য বলে মনে করেন বাইডেন।
তবে জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে সৌদি সরকার। অবশ্য ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগির হত্যাকাণ্ড একজন সংস্কারবাদী হিসেবে ক্রাউন প্রিন্সের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
রয়টার্স বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ ভালোভাবে পড়েছে এবং পেট্রোলের দাম কমানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন জো বাইডেন। আর এমন সময়েই সৌদি আরবে ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য এই সফরের কথা শোনা যাচ্ছে। আর এর উদ্দেশ্যই হবে দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক জোরদার করা।
এর আগে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা করবে না যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সৌদি আরবকে আট দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক আরও খারাপ না করে তা পুনর্নির্মাণ করে নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।