1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

বাইডেনের স্বাক্ষরে অবশেষে বন্দুক নিয়ন্ত্রণে আইন পেল যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২, ১১.৪২ এএম
  • ৩৯০ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতার রাশ টানতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আগেই একটি বিল পাস করেছিল মার্কিন কংগ্রেস। আর এবার সেই বিলে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

অর্থাৎ গত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র আইন পেল যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে পাস হওয়া বিলটিতে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যদিও আমি যা চাই এই বিলটি পুরোপুরি তা করে না, তবে এতে এমন কিছু পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে বলে আমি দীর্ঘকাল ধরে বলে আসছি।’

প্রসঙ্গত, গত মাসে নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি সুপারমার্কেটে এবং টেক্সাসের উভালদের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে উভালদের ওই স্কুলের ১৯ জন শিশু শিক্ষার্থীও রয়েছে। এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বন্দুক আইন কঠোর করার জোর দাবি ওঠে এবং সর্বশেষ কংগ্রেসে পাসের পর বাইডেনের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিলটি আইনে পরিণত হলো।

শনিবার বিলটিতে স্বাক্ষর করার সময় জো বাইডেন বলেন, বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা আশা করেছিল, (বন্দুক সহিংসতা রুখতে) মার্কিন সরকার কিছু পদক্ষেপ নেবে। তার ভাষায়, ‘আচ্ছা আজ, আমরা সেটিই করেছি।’

  • নতুন এই আইনের অধীনে যা রয়েছে:
  • বন্দুক সহিংসতা রোধে প্রণীত নতুন এই আইনের অধীনে ২১ বছরের কমবয়সী ক্রেতাদের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড কঠোরভাবে যাচাই করা হবে।
  • এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম এবং স্কুলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তহবিলে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে।
  • একইসঙ্গে হুমকি হিসাবে বিবেচিত লোকদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র অপসারণের জন্য ‘লাল পতাকা’ আইন প্রয়োগ করতে তহবিল বরাদ্দের মাধ্যমে অঙ্গরাজ্যগুলোকে উৎসাহিত করা হবে।
  • এছাড়া অবিবাহিত অন্তরঙ্গ সঙ্গীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে বন্দুক বিক্রি নিষিদ্ধ করতে তথাকথিত ‘বয়ফ্রেন্ড লুপহোল’ বন্ধ করা।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতার মধ্যেও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরে মতভিন্নতা দেখা যাচ্ছিল। তবে এরপরও মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিলটি পাস করতে গত বৃহস্পতিবার ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটর ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দেন। আর এতেই ৬৫-৩৩ ভোটে মার্কিন সিনেটে বিলটি পাস হয়।

এরপর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে গত শুক্রবার বিলটি ২৩৪-১৯৩ ভোটে পাস হয়। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ১৪ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাও ভোট দেন। এছাড়া ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটের সব সদস্যই বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। এরপরই শনিবার বিলটিতে স্বাকল করে আইনে পরিণত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সিনেটে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিলটি পাসের পর বিবিসি জানিয়েছিল, সহিংসতা রোধে আনা বিলটি এই কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ যে, কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো প্রস্তাবিত বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয়ের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, মার্কিন বন্দুক আইন শক্তিশালী করার যেকোনো প্রচেষ্টা রিপাবলিকান পার্টি বরাবরই বাধাগ্রস্ত করেছে।

টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর জন কর্নিন সেসময় বলেন, বন্দুক নিয়ন্ত্রণের এই বিলটি আমেরিকানদের আরও নিরাপদ করবে। তিনি বলেন, ‘উভালদের স্কুলে আমরা যা দেখেছি এবং অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যা দেখেছি তারপর কোনো কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকাতে আমি বিশ্বাস করি না।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com