হৃদরোগে আক্রান্ত সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। রোববার (০৮ মে) দুপুর ২টার দিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ছেলে ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (০৭ মে) রাতে মন্ত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অবস্থানকালে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত আড়াইটায় তাকে রমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে কার্ডিওলজি বিভাগের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর সেনানিবাসে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় রওনা করেন।
বর্তমানে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ঢাকা থেকে আসার পর থেকেই তিনি (মন্ত্রী) ঈদ উদযাপনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন। কয়েক দিন ধরে ঠিকমতো বিশ্রাম নেওয়া হয়নি। শনিবার রাতেও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এলাকায় একটি ঈদ আড্ডা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
রমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল গফুরের তত্ত্বাবধানে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অধ্যাপক শাকিল গফুর বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. বিমল রায় জানান, মন্ত্রী মহোদয় দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া তার উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস ছিল। তাকে হাসপাতালে আনা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করেন। মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে দুপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসাইন বলেন, ঈদ উদযাপনের জন্য ২৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বাড়িতে যান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে ছিলেন, বয়স্ক মানুষ, গরমে হয়তো এটা হয়েছে।