শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই : আব্দুস সালাম পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া আসামি গ্রেপ্তার থানা থেকে লুট করা পিস্তলসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গ্রেফতার আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ছাত্রদলের সড়ক ইশরাকের শপথ নেয়ার আইনি কোনো সুযোগ ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ভিটিকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল্লাহ গ্রেপ্তার দেড় মাসে ও ধর্ষিতার মামলা নেয় নি যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ ন্যায় বিচার পেতে বিভিন্ন দপ্তরে শিশু সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ২৮ জুন বিকল্প স্থানে কাউন্সিলের আহ্বান শীর্ষ‌ নেতা‌দের বিভিন্ন অভিযোগে ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার

পানির অপচয় রোধে সচেতন হওয়ার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২, ৩.১১ পিএম
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

পানি অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পানি সম্পদ অপচয় করলে কোনো সম্পদই থাকে না শেষ পর্যন্ত। 

সোমবার (৪ এপ্রিল) গ্রিন রোডের পানি ভবনে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পরিশুদ্ধ করে পাইপে পানি সরবরাহ করে থাকি। এগুলো করতে অনেক খরচ হয়। তাই পানির অপচয়টা বন্ধ করতে হবে। সেটা নির্মাণ কাজে হোক, গৃহস্থালি কাজে হোক বা সেই গাড়ি ধোয়ার কাজেই হোক, যে কাজেই হোক, লন্ড্রি ব্যবহারে হোক, সবক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ভূগর্ভে যেতে পারে সেই দিকে দৃষ্টি রেখেই পরিকল্পনা নিতে হবে। সব জায়গায় সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দিলাম, আর বৃষ্টির পানি গড়িয়ে চলে গেলো, সেটা না। বৃষ্টির পানি একাভারে আন্ডারগ্রাউন্ডে একেবারে নদীতে পড়বে, সেটা না। আমাদের আশপাশের জলাধারে সংরক্ষণ করতে পারে সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ভৌগলিক ও ভূপ্রকৃতি অবস্থার বিবেচনা করে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এই দেশ আমাদের, মাটি আমাদের, মানুষ আমাদের। তাদের কল্যাণ ও মঙ্গল কিসে হয়। শুধু আজকের জন্য না, ভবিষ্যতে এ দেশ যাতে উন্নত ও সমৃদ্ধ থাকে। পানির অপর নাম জীবন। তাই এই পানি সম্পদকে রক্ষা করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আর ভূগর্ভস্থ পানি যত কম ব্যবহার করা যায়, ভূ-উপরিস্থ পানি যত বেশি ব্যবহার করা যায়, সে দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রকৃত পক্ষে মিঠা পানির দেশ। তারপরও জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি-৬ বাস্তবায়নের দিকে আমাদের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপ্রিয় পানি ব্যবস্থা এবং স্যানিটেশন নিশ্চিত করা এসডিজি-৬’র সবথেকে বড় লক্ষ্য। ইতোমধ্যে স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে আমরা ৯৭ ভাগ সাফল্য অর্জন করেছি। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সারাদেশেই স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করা হয়েছে। প্রকাশ্য মলমূত্র ত্যাগ কমই দেখা যায়, সেটা নেই। সেই দিক থেকে আমরা যথেষ্ট অগ্রগামী।

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে সুপেয় পানি পাওয়া কষ্টকর। কিন্তু আমাদের বিশাল পানি সম্পদ রয়েছে। আমাদের এই সম্পদ যদি যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি, আমাদের দেশের মানুষের এই কষ্টটা হবে না। আমরা বিশ্বকে পানি সরবরাহ করতে পারবো। সেই বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

এ সময় সুপেয় পানি ব্যবস্থার জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার সীমিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকায় নদীর পানি পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা শুরু করেছি। ঠিক সেইভাবে জেলা ও উপজেলায় যেখানে লাইনের মাধ্যমে সুপ্রিয় পানি দিচ্ছি, সেখানেও নদীর পানি পরিশুদ্ধ করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বন্যা হয়, সেখানে অনেক সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার জন্য আমরা ড্রেজিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সেটা শুধু নদীর নাব্যতাই বাড়াবে না, নৌপথগুলো সচল হবে। স্বল্পমূল্যে পণ্য পরিবহন করতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমে যাবে। বাংলাদেশের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি বেশি ব্যবহার করার ক্ষতি হবে। কারণ, বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ একটি জায়গা। এই পানি আমাদের রক্ষা করে। বাংলাদেশের নিচে শিলা আছে, তার নিচে আরও বিশাল পানির স্তর আছে। এটাই আমাদের রক্ষা করছে। সেখানে আমরা ভূগর্ভস্থ পানি বেশি ব্যবহার করলে ভূমিকম্পন হওয়ার সম্ভবনা বেশি দেখা দেবে।

বর্ষা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীগুলো দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়ায় তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। এতে নদীর বিশালতা ও চওড়া বেড়ে গেছে। এত চওড়া নদী আমাদের প্রয়োজন নাই। এখানে বিভিন্ন পকেট তৈরি করে, নদী ড্রেজিং করা পলি সেখানে ফেলে ভূমি উত্তোলন করতে পারি।

ড্রেজিং করা পলির কারণে চাষ উপযোগী জমি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জলবদ্ধতা দূরীকরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোন নির্মাণ হবে এবং প্ল্যান্ট ও প্রোগ্রাম হবে। তখন মাথায় রাখতে হবে যে, বন্যার সময় যাতে পানি বহমান থাকে এবং পানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে দেখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার সময় পানির ধারণ ক্ষমতা যেন থাকে। নদী ড্রেজিংয়ের সময় নদীর নাব্যতা বাড়াবে। আবার বন্যার সময় বাফার জোন রেখে দিতে হবে, যাতে অতিরিক্ত পানি ধারণ করতে পারে। যেটা আমরা শীতকালে ব্যবহার করতে পারি।

বন্যার সঙ্গেই আমাদের বসবাস করতে হবে। একে আপন করতে হবে। বন্যার সময় বসবাসের পদ্ধতি আমাদের শিখতে হবে। কারণ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ বন্যার সময় পলি পড়ে আমাদের…। জলবায়ুর অভিঘাতের কারণে আমাদের দেশ ও ছোট ছোট দ্বীপগুলোতে লাগছে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় পানির প্রবাহ ও নৌপথ যাতে ঠিক থাকে সেই দিকে নজর রাখার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, হাওর-বাওড় এলাকায় রাস্তা নির্মাণের সময়, সেগুলো মাটি ভরাট করে যাতে না করা হয়। সেটা এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে পানির প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়।

তিনি বলেন, আমি জানি একটু উঁচু বাঁধ হলে বেশি পয়সা খরচ হয়। বেশি খরচ হলে কিছু লোক কমিশন পাবে। এই ধরনের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। যেভাবে দেশের জন্য কল্যাণকর হয়, সেভাবে পরিকল্পনা নিতে হবে, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাঁধ নির্মাণ ও সড়ক নির্মাণের সময় দু’পাশে বৃক্ষরোপণ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com