1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কে এই সফিক? উত্তরায় খুলেছে নারী বিক্রির হাট কে এই সফিক? উত্তরা খুলেছে নারী বিক্রির হাট। দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, ভারতে পাঁচার হচ্ছে অল্প বয়সি নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ, লুটপাট বন্ধ করার জন্য অভিযোগ জমা পরেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেফতার ইবতেদায়ী নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি সভা ঈমান …….. মোঃ মনির হোসেন  পুলিশের নাকের ডগায় গার্ডেন ভিউ ও বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ডের অর্ন্তরালে মানব পাঁচার ও নানাবিধ অপরাধ কর্ম

খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল কীভাবে? এটা সঠিক চিত্র নয় : সিপিডি

  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২, ২.৩৭ পিএম
  • ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। সরকারি খাতায় ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এক একটি পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ১৫, ২০ ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল কীভাবে সম্ভব? এটা সঠিক চিত্র নয়।

রোববার (২০ মার্চ) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক মিডিয়া ব্রিফিং ও আলোচনায় এমন চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিপিডির সিনিয়র রিচার্স ফেলো মো. তৌফিক ইসলাম খান। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশিষ্টজনরা বক্তব্য রাখেন।

সিপিডির গবেষণাপত্র উপস্থাপনের সময় ফাহমিদা খাতুন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বী। কিন্তু সরকারি খাতায় খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায়ও কম। কিন্তু এটা বাস্তবতার তুলনায় সঠিক চিত্র নয়। নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতিও বেশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্য বহির্ভূত মুদ্রাস্ফীতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একটি বাড়লে আরেকটি কমে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি। এক একটি পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ১৫, ২০ ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। তারপরও খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে স্থিতিশীল? আমরা বাজারে সেটা লক্ষ্য করি না। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্য চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের মূল্য যদি আলাদাভাবে দেখি, তাহলে দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যায়। তারপরও দেখি মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল।

ফাহমিদা বলেন, দেশের তিন ধরনের চালের (মিনিকেট, পাইজাম ও মোটাচাল) দাম বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, চালের বাজার ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের তুলনায় অনেক ঊর্ধ্বমুখী। একইভাবে ময়দা, চিনি, ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, পাউডার মিল্ক, ডিম ও  মাংসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি ফারাক। অসম্ভবভাবে বেড়েছে দাম। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধির কারণই একমাত্র দায় নয়। বিপরীতে আমরা দেখতে পাই, সিগারেটের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কম। স্বাস্থ্যহানিকর পণ্য হিসেবে কর বৃদ্ধি করে করের আওতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। যদিও এখন বেশি আছে, কিন্তু আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

সেজন্য সিপিডি নিত্যপণ্যের সরবরাহ যাতে যথেষ্ট থাকে সেটার প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়। পাশাপাশি কিছু পণ্যে বাজারে মনোপলির একটি প্রবণতার কথা তুলে ধরে।

ফাহমিদা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ দেখি না। বিশেষ করে সংকটের সময় কয়েকটি আমদানিকারক ও বিক্রেতাকে বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা জরুরি। অন্যদিকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা জরুরি। সরকার চেষ্টা করছে, যদিও তা যথেষ্ট নয়। এর পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। সংকট পরিস্থিতিতে নগদ সহায়তা চালু রাখা যেতে পারে।

সিপিডি জানিয়েছে, রপ্তানি বাড়ছে, কিন্তু সেই তুলনায় আমদানি বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহও কমে গেছে। কয়েকটি পণ্য আমাদের ও বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্য। কৌশলের অংশ হিসেবে আগেভাগেই জ্বালানি তেলের মজুদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মূল্যও আস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেটা আরও বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ৯৫ দশমিক ৮ ডলার ও মার্চে ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। যেখানে এক বছর আগেও ব্যারেল প্রতি ৬৫ ডলার ছিল। আশঙ্কা হচ্ছে, যুদ্ধ যদি না থামে সামনে দাম আরও বাড়বে।

সিপিডির মতে, সরকারি ব্যয় সুচিন্তিতভাবে করা দরকার। যে ধরনের প্রকল্পে মানুষের কর্মসংস্থান হয়, সে ধরনের ব্যয় করতে হবে। আর যতগুলো প্রকল্প চলমান, সেগুলো দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। অন্যদিকে দেশে ব্যাংকিং খাতে ঋণ খেলাপি বেড়েই চলেছে। ব্যাংকগুলোকে ঋণ খেলাপির বিষয়ে এক ধরনের শৈথিল্য দেওয়া হয়। তারপরও এর উন্নতি হয়নি, বরং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

এসব বিষয়ে নজর দেওয়ার পাশাপাশি বাজেট ব্যবস্থাপনায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়েছে সিপিডি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com