শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নির্বাচন নিয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ব্যবসায়ীকে হত্যা: আসামিদের ধরার দাবিতে সড়ক অবরোধ ময়মনসিংহে বাস উল্টে হেলপার নিহত, আহত ১৯ মায়ের মৃত্যুতে প্যারোলে মুক্ত ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ চোরাই মোটরসাইকেলসহ মেকানিক গ্রেপ্তার ঈদের জামাতে আ’লীগ নেতাকে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের গোলাগুলি/ ভাংচুর-লুটপাট সহ আহত একাধিক এপ্রিল মাসে নির্বাচন হলে দ্বিগুণ বাড়বে খরচ : মির্জা ফখরুল পুলিশের কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্দোষরা শাস্তি পাবেন না থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

জনগণের টাকায় যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে সরকার

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২, ১০.৫৯ এএম
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে

সরকার জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্ম পুষছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। 

রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা এই অভিযোগ করেন।

রুমিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ আর সব মন্ত্রী প্রথমে খুব কড়া ভাষায় আমেরিকাকে আক্রমণ করলেও এখন গলার স্বর নিচু। এখন নিজেদের সমস্যা খতিয়ে দেখার আলাপ হচ্ছে। প্রয়োজনে লবিস্ট, ল ফার্ম নিয়োগের কথা হচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ কোনো নতুন বিষয় নয়। জনগণের করের কোটি কোটি টাকা খরচ করে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় লবিস্ট ফার্ম পুষছে সরকার।

তিনি বলেন, একটি ফার্মকে গত বছর সরকার ত্রৈমাসিক ৮০ হাজার ডলার করে দিয়েছে, বছরের যার পরিমাণ ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার (আনুমানিক ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)। ওই ফার্ম বিজিআর ছাড়াও গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডল্যান্ডার গ্রুপের সঙ্গে ৪০ হাজার ডলারে এক মাসের জন্য একটি চুক্তি করেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। এছাড়া কোনওয়াগো কনসালটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এক মাসের জন্য আরেকটি চুক্তি করে। ৩৫ হাজার ডলার অগ্রিম দেওয়ার শর্তে চুক্তিটি হয়, যাতে সই করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

রুমিন ফারহানা বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অ্যালক্যাড অ্যান্ড ফে নামের লবিং প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১২ লাখ ডলারের (১০ কোটি টাকার বেশি) বেশি দিয়েছে।

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, পরিস্থিতি দেখে এটা স্পষ্ট – নিষেধাজ্ঞা এখানেই শেষ হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিশ্বের স্বনামধন্য ১২টি মানবাধিকার সংস্থা র‍্যাবের সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে পদায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘে জোর দাবি জানিয়েছে এবং জাতিসংঘও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে। জনগণের করের টাকায় চলা একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে দলীয় ক্যাডারের মতো ব্যবহার করে তাতে কর্মরত অনেক নিরপরাধ মানুষ এবংতাদের পরিবারের জীবনে সংকট তৈরি করেছে সরকার।

রুমিন বলেন, এখন মার্কিন চাপে নানা দিকে তোরজোড় শুরু করেছে সরকার। মজার ব্যাপার এখানেও আবার সঠিক পথে না গিয়ে উল্টো পথে হাঁটছে। গুম হওয়া বেশ কিছু মানুষের ব্যাপারে যেহেতু জাতিসংঘ তথ্য চেয়েছে, তাই সরকার ব্যাপারটির সমাধান করতে চাইছে গুম হওয়া মানুষদের পরিবারের ওপর নতুন করে নিপীড়ন চালিয়ে। তাদের স্বজনকে কেউ তুলে নিয়ে যায়নি এমন কথা লিখিত বিবৃতি দিতে আর সাদা কাগজে সই দিতে বাধ্য করছে পুলিশ।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক বাস্তবতা তাতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচনকালীন সরকারটি কেমন। বাংলাদেশে মোটাদাগে যে চারটি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ধরা হয়, তার প্রতিটিই হয়েছে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। ২০১৪ এবং ২০১৮ এর পর নির্বাচনী বাস্তবতা আরও অনেক বেশি কঠিন। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনে যদি ৫ জন ফেরেশতাও বসানো হয় তারপরও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া অসম্ভব। সুতরাং এখনই সময় এই বিষয়ে একটি স্থির সিদ্ধান্তে আসা।

রুমিন বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু, বিরোধী দল-মত দমন, বিরাজনীতিকরণ, সেপারেশন অব পাওয়ার মুছে ফেলে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের অধীনস্ত করা, বীভৎস দুর্নীতি, সব কিছুর ফল হয়েছে এই যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশনের রিপোর্ট। এছাড়াও গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশকারী ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ফ্রিডম হাউজ, বেরটেলসম্যান স্টিফ টুং, ভি-ডেম, ইন্সটিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, সিভিল লিবার্টি নিয়ে কাজ করা সিভিকাস, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, আইনের শাসনের সূচক প্রকাশকারী ওয়ার্ল্ড জাস্টিস রিপোর্ট, দুর্নীতির সূচক প্রকাশকারী ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করা ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্টের গত কয়েক বছরের রিপোর্টে বাংলাদেশের দুরবস্থার চিত্র পরিষ্কার। এসবই সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে, সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com