সিএনএম প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বারে অভিযান চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। অভিযানে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিসা বারটি তারকা দম্পতি ওমর সানি ও আরিফা জামান মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনের।
পুলিশের অভিযানের পর সিসা বার অবৈধ কেন ছেলের হয়ে প্রশ্ন রাখেন ওমর সানি।
তিনি বলেন, সিসা সিগারেটের চেয়েও কম ক্ষতিকর। এছাড়া গুলশান-বনানীতে এমন আরও ৪০টি সিসা বার রয়েছে। তাহলে সিসা বার কেন অবৈধ হবে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে ওমর সানি বলেন, মন্টানা লাউঞ্জ আসলে একটি খাবারের রেস্টুরেন্ট। এর মালিক আমার ছেলে এবং তার আর দুই বন্ধু। খাবারের পাশাপাশি এখানে সিসা খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আমরা কোনো বেআইনি কাজ করেনি। আমরা দেশের আইন অনুযায়ী চলতে চাই। আমরা খুব সুন্দরভাবেই আছি এবং বাকি জীবনটাও খুব সুন্দরভাবে থাকব। অবৈধ কোনো কিছু আমরা করিনি এবং করবও না।
ছেলের সিসা বারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেতা ওমর সানি বলেন, গুলশান বনানীতে প্রায় ৪০টির মতো সিসা লাউঞ্জ আছে। সিগারেট অবৈধ না হলে সিসা কেন অবৈধ? তারপরেও সরকার যদি গুলশান বনানীসহ দেশের সব সিসা লাউঞ্জ বন্ধ করে দিতে চায় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। এখানে আমাদের আসল ব্যবসা খাবারের। সাপ্লিমেন্টারী হিসেবে সিসা বারটি ছিল।
তিনি বলেন, গুলশান বনানীতে যদি আরও ১০টি সিসা লাউঞ্জ থাকে তাহলে আমরটা কেনো থাকবে না। আরও ১০-১৫ বছর আগে থেকে গুলশান বনানীতে সিসা লাউঞ্জ আছে।
ছেলের সিসা বারের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অনুমোদন আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসা লাউঞ্জের ১০০ শতাংশ কোনো কাগজপত্র বাংলাদেশ সরকার দেয় না। আর সিগারেট অবৈধ না হলে সিসা লাউঞ্জ কেন অবৈধ হবে?
সিসা বার অবৈধ না হলে পুলিশ কেন অভিযান চালিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম না। এখন পুলিশের সঙ্গে আমাদের অফিশিয়ালি কথা হবে। লকডাউনের কারণে দেশের সব রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল, কিন্তু আমাদেরটা খোলা ছিল। এর কারণেও পুলিশ অভিযান চালাতে পারে। আমার জানা মতে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। তারা প্রত্যেকেই আমাদের স্টাফ।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্টানা সিসা লাউঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে গুলশান থানা পুলিশ।
অভিযান শেষে ওসি আবুল হাসান বলেন, সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গুলশান-১ ও ২ এর মাঝখানে আরএম সেন্টার ভবনে মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় বারটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে আমরা ১১ জনকে আটক করি। এছাড়া অভিযানে সিসা ও সিসা সেবন করার বিভিন্ন জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ। তাই এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।