সিএনএম প্রতিবেদকঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স প্রকল্পের মাধ্যমে আরও তিন কোটি মানুষের জন্য ৬ কোটি ভ্যাকসিন কিনতে ইতোমধ্যেই টাকা দিয়ে রেখেছে সরকার।
শনিবার (৩০জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনেশেন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, “করোনা’র ভ্যাকসিন দেশে এমনি এমনি আসে নাই। ৬ মাস এর পিছনে লেগে থাকতে হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছে সকলকে আমরা পত্র পাঠিয়েছি। সবার সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেছি, বুকিং দিয়েছি, টাকা পাঠিয়েছি, নেগোশিয়েট করেছি, যে কারণে আগেই ভ্যাকসিন পেয়েছি। আরও ৩ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিনের টাকা অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। ডব্লিউএইচ ‘তে আমাদের সাড়ে ৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া আছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি ওষুধে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। করোনা’র ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না তা নয়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে জ্বর হতে পারে, এটা স্বাভাবিক, মাথা ব্যাথা হতে পারে, ভ্যাকসিন নেওয়ার জায়গা একটু ফুলে যেতে পারে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। এখন পর্যন্ত যত জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই ভালো আছে।”
মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন এখন একটি বড় অস্ত্র। করোনা মোকাবেলায় এই অস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এ বিষয়ে প্রশংসা পাবে, পাচ্ছেও অলরেডি। অনেক রাষ্ট্র এখনও ভ্যাকসিন পায় নাই। আগামী দুই তিন মাসেও পাবে কিনা সন্দেহ। তার উদাহরণ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, শ্রীলংকা। বিশ্বের ২৩ নাম্বার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে।
অবহিতকরণ সভায় মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমি আখন্দ, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালামসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।