সিএনএম প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় মোটেল মতি (আবাসিক হোটেল) থেকে আটক হওয়া ৫ নারীসহ ৮ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান এই নির্দেশ প্রদান করে।
আটককৃতরা হলেন, শহরের পুরাতন বাসন্ট্যান্ড এলাকার মোটেল মতির ব্যবস্থাপক ও কুকরাইল গ্রামের নাজিমউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার (৩৮), শহরের শকুনী এলাকার আলমগীর শিকদারের ছেলে হারুন শিকদার সজিব (৩৫) এবং শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি গ্রামের আবুল কালাম বেপারীর ছেলে মোক্তার হোসেন (২৩) ও পাঁচজন নারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত মোটেল মতি’তে (আবাসিক হোটেল) অসামাজিক কার্যক্রম চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে অভিযান চালায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় মোটেল মতি থেকে ৫ নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করা হয়। তাদের ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটককৃতরা দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের আটক করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।
রাতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফরহাদ রাহী মীর সদর মডেল থানায় দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে মানব পাচার দমন আইনে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের সোমবার দুপুরে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতের বিচারক তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। পরে পুলিশের গাড়ি করে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হানান জানান, আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের জড়িত থাকায় আটক ৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এই দেহ ব্যবসার সাথে জড়িতদের মূল হোতা সেলিম হাওলাদার মামলার প্রধান আসামী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। এছাড়া অজ্ঞাত আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।