সিএনএম প্রতিবেদকঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজরে স্কুলছাত্রী নাজনীন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি নাজিম উদ্দিন পাশা। নাজনীন তার গার্লফ্রেন্ড ছিল। জবানবন্দিতে সে জানায়- ব্রেকআপের পর তাকে ‘গালি’ দেয়ায় নাজনীনকে হত্যা করেছে নাজিম।
বুধবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা মেহের বানুর আদালতে নাজিম উদ্দিন পাশার জবানবন্দি নেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের বালিঙ্গা গ্রামে নিজ বাড়িতে নাজনীন আক্তারকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের নাজিম উদ্দিন পাশা। এরপর সে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই নাজিমকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা শামসুল হক চৌধুরী।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, নিহত নাজনীনের সঙ্গে নাজিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই বছর আগে তাদের ব্রেকআপ হয়। এরপর নাজনীনের পেছনে ঘুরতে থাকে নাজিম। এ কারণে তাকে গালি দেয় নাজনীন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রাক্তন প্রেমিকাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সে।
ওসি আরো বলেন, আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামি নাজিম উদ্দিন পাশাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।