বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় অশনি চলে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।
তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার (প্রকৌশল) আহসান আলম জানান, বরিশালের কীর্তনখোলা নদী, ঝালকাঠির বিশখালী, মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ভোলা খেয়াঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দৌলতখান উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা জেলার বিশখালী নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাথরঘাটা উপজেলার বিশখালী নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলে এইসব এলাকায় নদী ভাঙনের দেখা দিবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।