সিএনএম প্রতিবেদকঃ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মেশিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতে গড়বড় হয়ে গেছে। সুতরাং এই মিশিন বিকেল হতে বাধ্য। এই মেশিন বিকল হবেই। এই মেশিন রাস্তার মাঝখানে বন্ধ হবেই।
বুধবার ২৭ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনাচার, অনিয়ম, অত্যাচার এর মধ্য দিয়ে দেশটাকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে এর ফল আসবেই এর কোনো সন্দেহ নেই।বর্তমানে আওয়ামী লীগ মারার জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। তাই নিজেরা নিজেরা মারামারি করছেন যোগ করেন তিনি।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, চিটাগাং সিটি নির্বাচন হচ্ছে আজকে। আমরা সারা জীবন যেটা দেখেছি আন্তর্জাতিক এর কথা বাদই দিলাম। বাংলাদেশ সারা জীবন যেটা দেখেছি যখন ঘূর্ণিঝড় আসে, সাইক্লোন আসছে, রেড কিসেন্ট এর টিম তারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে লোক নিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ১০ নম্বর ৮ নম্বর সংকেত, দুর্যোগের সময় রেড ক্রিসেন্ট টিম উপস্থিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ভোট তো দুর্যোগ নয়। বাংলাদেশের ভোট নাকি উৎসব? চট্টগ্রামের ভোটকেন্দ্রে রেড ক্রিসেন্ট ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে অ্যাম্বুলেন্স সহকারে। সেখানে যদি কিছু হয় সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করার জন্য।
তিনি বলেন, অদ্ভুত ভাবে দেশটা চলছে এভাবে কখনো চলে নাই। শেখ মুজিবর এর আমলে অনেক অনাচার, দুর্নীতি ছিল কিন্তু এইভাবে কখনো চলে নাই।
তিনি বলেন, এখন সব জায়গায় তাদের নিজেদের মধ্যে লেগেছে। এক এসপি ভোটকেন্দ্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে অপমান করে। সেই এসপিকে গতকাল হাই কোর্ট থেকে বলা হয়েছে….। অর্থাৎ মেশিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তে গড়বড় হয়ে গেছে। সুতরাং এই মিশিন বিকেল হতে বাধ্য। এই মেশিন বিকল হবেই। এই মিশিন রাস্তার মাঝখানে বন্ধ হবেই। এবং একবার যদি এই আওয়ামী লীগ নামক সরকারের মেশিন রাস্তার মধ্যে বন্ধ হয়ে থেমে যায়। এই মিশিন কোথায় চলে যাবে, কত টুকরা হবে, কত হাতে হাতে চলে যাবে এটার নিশ্চয়তা বাংলাদেশের কেউ দিতে পারবেনা।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ ইব্রাহিম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।