অর্থপাচার আইনের মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে সোমবার (২৫ এপ্রিল)। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৬ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন সংশ্লিষ্ট আদালত ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল।
গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি শওকত আলম আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।
এরপর এনু-রুপনের আইনজীবী রাজীব সরকার বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আসলে তা সত্য নয়। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি কারাগারে আছেন।
২০২০ সালের ২১ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় র্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে, তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করতে কালামের বাসায় রেখেছিল।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।