পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর-আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বৈরাচার আন্দোলনে শহীদ ইব্রাহিম সেলিমের ছোট ভাই ইব্রাহিম ফারুক ও জেলা পরিষদের সদস্য স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুন অর-রশিদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
পৌর-আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হারুন অর-রশিদ গুরুতর আহত হন ।
জানা গেছে , গত ২১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধা ৭টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর-রশিদকে নিয়ে বাউফল পাবলিক মাঠ সংলগ্ন যাত্রী ছাউনিতে বসে চা পান করছিলেন।
বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত ছাত্রলীগ একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ গেট থেকে কুন্টিপুট্রি দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ মিছিল থেকে লোহার রড,জিআই পাইপ দেশী আগ্নেয়াস্র চা পান রত অবস্থায় আব্রাহিম ফারুক ও হারুন অর-রশিদের ওপর প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পরে রড, দেশীয় আগ্নেস্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় পৌরআওমীলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফারুক ও হারুন অর-রশিদ গুরতর রক্তাক্ত জখম হন। তাতে ইব্রাহিম ফারকের বাম চোখ বা হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং হারুন অর রশিদের মাথা ফেঁটে যায়।
স্থানীয়রা ইব্রাহিম ফারুক ও হারুন অর রশিদকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ইব্রাহিম ফারুকের অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করেন।
হারুন রশিদকে বরিশাল সেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠালে তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।
বর্তমানে ইব্রাহিম ফারুক ঢাকা ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে সঙ্গাহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। হারুন অর রশিদ ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাদীন আছেন ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরনে ফুল দেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে এক সাথে মাইকে অনুরোধ করা হলে,সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ নেতৃত্বাধীন উপজেলা ও পৌর-আওয়ামীলীগসহ অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা শহীদ বেদীতে উঠেন। এরপরেই মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে উঠেন। শ্রদ্ধা নিবেদন কারা আগে দিবে তা নিয়ে প্রশাসনের সামনে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। তারই জের ধরে ২১ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধা ৭টার দিকে ওই হামলার ঘটনটি ঘটে ।
এ হামলার প্রতিবাদে গত সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বেলা ১১টার সময় দলীয় কার্যালয় জনতা ভবন থেকে এক বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল বের করে পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষ করে থানা সংলগ্ন ডাক বাংলা সামনে ইলিশ চত্বরে হামলাকারীদের গ্রেফতার বিচারের দাবীতে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
উপজেলা আওমীলীগের সহ-সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়াম বেগম নিশু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ সিকদার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ও উপজেলা স্বেচ্ছোসেবকলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার সন্ধ্যায় যাত্রী ছাউনিতে চা খেতে বসেছিলেন। মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত সন্ত্রাসীরা একটি মিছিল নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ইব্রাহিম ফারুকের বাম চোখে ও বাহাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়এবং হারুন রশিদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সভায় পুলিশ প্রশাসনকে হামলাকরীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করা হয়।
মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল সমর্থিত লোকদের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে কেহর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৩৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পৌরশহরে মধ্যে পযাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।