দুদিন উত্থান আর তিন দিন সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের একটি সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী এ সপ্তাহে কমেছে লেনদেন, সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পুঁজি (বাজার মূলধন) কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনেও একই অবস্থা দেখা গেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ৩১৯টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়নি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।

তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪১ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে।

তিনটি সূচকই কমায় বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯২৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৩৭২ টাকা। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস (২৭ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শুরুর দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭ হাজার ৯০৬ টাকা।

এর আগের সপ্তাহে মূলধন কমেছিল ১০ হাজার ৫৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ১৬১ টাকা। অর্থাৎ সর্বশেষ দুই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই হয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ২৮৬টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১১টি কোম্পানির।

এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে। সিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৩৪ কোটি ২১ লাখ ৩২ হাজার ১৯৮ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৩ কোটি ৯০ লাখ ৭২ হাজার ২৩৪ টাকার।