শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। মামলার পর ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, ওই ছাত্রীর মা ১৯ এপ্রিল বিকেলে ডামুড্যা বাজারে ছোট মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে যান। যাওয়ার সময় বাড়িতে তাঁর বড় (স্কুলপড়ুয়া) মেয়েকে রেখে যান। বাবাও বাহিরে ছিলেন। এই ফাঁকে একই এলাকার আবির মালো (২২) ওই স্কুলছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে আসে। দুজনের মধ্যে অনেকদিন ধরে সম্পর্ক চলছিল। সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের বারান্দার পড়ার টেবিল থেকে ভিতরের বেড রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। হঠাৎ ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাড়িতে আসলে, বিষয়টি টের পেয়ে বাহির থেকে দরজা লগ করে দেয়। আবির মালো ডামুড্যা পৌরসভা এলাকার বুধাই মালোর ছেলে।
এ ঘটনায় আবির মালোকে আসামি করে রাতে ডামুড্যা থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে আবির। আমি হাতেনাতে দুজনকে আটক করেছি।
অভিযুক্ত আবির মালো বলেন, আমি ওই ছাত্রীকে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াই। ওই ছাত্রী আমাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতো। রাজি না হওয়ায় সোমবার ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীর পরিবার আমাকে ঘরে আটকে রাখে। পরে মারধর করে আহত করে বিয়ের চাপ দেয়। রাজি না হওয়ায় আবার আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।