ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেল ৩টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য সিন্ডিকেট ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৭২.৮৫ শতাংশ; গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১.৬৪ শতাংশ; অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৩.৬৪ শতাংশ; পণ্য ও সেবা বাবদ ১৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের ১৯.৫২ শতাংশ এবং মূলধন খাতে ২১ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২.৩৯ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (বিমক) থেকে পাওয়া যাবে ৭৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.২৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটে বিমকের অনুদানের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিমকের বরাদ্দ ৫০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বাড়বে।
সংশোধিত বাজেটের বিষয়ে বলেন, ২০২১-২২ সালের মূল বাজেট ছিল ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে ২৮ কোটি ৮৯ লাখ বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৮৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ওই সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান ৭৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৬৫ কোটি টাকাসহ আয় ধরা হয়েছে ৭৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা মাত্র যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৪.৪৫ শতাংশ।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং একাডেমিক ভবন মেরামত ও সংস্কারের জন্য বিমককে একটি বিশেষ তহবিল দিয়েছেন, যেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশাকরি আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে বর্ধিত হারে এ ধরনের অনুদান আমরা পাবো।