তীব্র অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটে দিশেহারা শ্রীলঙ্কা। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর তীব্র ঘাটতির ফলে বেশ বিপাকে পড়েছে দ্বীপ দেশটি। বিপর্যয়ের পড়া শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে ভাঙন ধরেছে। জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন সংসদ সদস্যরা। এসব কিছু প্রভাব পড়েছে দেশটির ক্রিকেটে। এজন্য প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আগামী মাসে সূচিতে থাকা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যথাসময়ে বাংলাদেশে আসবে তো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল?
এখনি কোনো শঙ্কা দেখছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ৮ মে বাংলাদেশে আসার কথা লঙ্কানদের। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট যথাসময়েই দল পাঠাবে।
নিজামউদ্দিন বললেন, ‘বোঝাপড়ার মাধ্যমে সময়গুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই তারা বাংলাদেশ সফর করবে। সে অনুযায়ীই আমাদের পরিকল্পনা এগোচ্ছে। আমি মনে করি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সময়েই দল পাঠাবে।’
দুই দলের এই সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। যেখানে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামী ১৫ মে চট্টগ্রাম আর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ২৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।
এদিকে চলতি বছর শ্রীলঙ্কায় বসার কথা আছে এশিয়াকাপের লড়াই। শেষপর্যন্ত এই টুর্নামেন্টটি লঙ্কায় হবে কিনা তা নিতেও যথেষ্ট সংশয় আছে। শেষপর্যন্ত শ্রীলঙ্কার নাম আয়োজক থেকে বাদ পড়লে সুযোগ লুফে নিতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?
নিজামউদ্দিনের জবাব, ‘এটার স্বত্ব শ্রীলঙ্কান বোর্ডের। লঙ্কান বোর্ড মনে করছে তারা আয়োজন করতে পারবে। যদি কখনও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় তা একটা প্রক্রিয়া মেনেই হবে। এ বিষয়গুলো এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এসিসির ফোরামে আলোচনা করা হয়। সে ধরনের আলোচনা এখন পর্যন্ত হয়নি বা আমরা এমন কোনো বিষয়ে অবগত নই।’
সঙ্গে যোগ করেন নিউজামউদ্দিন, ‘আগে শ্রীলঙ্কা (না) করুক, তারপর আমরা বলব। এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যেহেতু এশিয়া কাপের আরও সময় আছে। শ্রীলঙ্কা যেহেতু আয়োজক, শ্রীলঙ্কার বোর্ডই এ বিষয়টা ভালো বলতে পারবে এবং সিদ্ধান্ত দিতে পারবে।’